সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজসহ অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেছেন সংগঠনটির এক কর্মী। তার নাম রাজীব আহমদ। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সিলেটের বিশ্বনাথের ৩ নম্বর আমলি আদালতে এই মামলার আবেদন করেন রাজীব।
রাজীব বিশ্বনাথ উপজেলার হরিকলস গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি পার্থ সারথি দাশের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সিলেটের বিশ্বনাথে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় এ মামলা দায়ের করেন রাজিব। ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে।
জানা যায়, ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তের জের ধরে বিশ্বনাথ পৌর শহরে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ পাল্টাপাল্টি মিছিল বের করে। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার খবরে জেলা কমিটির প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম ও জাকির হোসেন মামুনের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ প্রথমে মিছিল বের করেন।
এদিকে জেলা কমিটির সভাপতি সম্পাদকের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পাল্টা মিছিল বের করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পার্থ সারথী দাস পাপ্পু। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পার্থ সারথী দাস পাপ্পুকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা করেন সিরাজুল ইসলাম পক্ষের ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ আহমদ রিপন। গত মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নম্বর আদালতে এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন শরিষপুর গ্রামের রুহেল খান (৩৬), মাসুম (২২), মাসুম আহমদ (২১), আমতৈল গ্রামের হুমায়ুন আহমদ (৪০), হরিকলস গ্রামের রাজীব আহমদ (২২), বরইগাঁও গ্রামের আফসর আহমদ শিমুল, দলিপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম নাহিদ (২২)।
পরে এই মামলার খবর পেয়ে আদালতে পাল্টা মামলা করেন পার্থ সারথী দাস পাপ্পুর পক্ষের রাজিব আহমদ।
তার এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমনকে। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন উপজেলা যুবলীগ নেতা রাজু আহমদ খান (৩২), ছাত্রলীগ নেতা কামরুল ইসলাম (৩০), সিরাজুল ইসলাম (২৯), শামীম আহমদ (৩৫), আবিদুর রহমান (২৬), জাকির হোসনে মামুন (২৭), রিপন মিয়া (২৫), মুহিবুর রহমান সুইট (৩৮), আসলাম মিয়া (২৫), জহির আলী (২৪), কামরান আহমদ (২৫) ও শুভ চন্দ (২৬)। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান, আদালতে মামলা হয়েছে। এখনও কাগজ তাদের হাতে পৌঁছায়নি। সেটি পাওয়ার পর পরবর্তী আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলায় বিশ্বনাথ উপজেলাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন