ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় রাত থেকে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি উত্তাল হতে শুরু করেছে সমুদ্রসৈকত। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। নিরাপদে কুয়াকাটা ছাড়তে শুরু করছে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা। কলাপাড়া উপজেলার ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি ( সিপিপি) ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
ইতিমধ্যে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা কুয়াকাটা ছাড়তে শুরু করছে। সোমবার (২৩ অক্টোবর) অর্ধেক পর্যটক কুয়াকাটা ছেড়েছেন, বাকিরা মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) চলে যাবে বলে ধারণা করছে হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়া সূত্র বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ ৫৪০ কিমি দূরে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে। তাই সব সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবাসিক হোটেল সি গোল্ড রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলআমিন মুসল্লি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে পর্যটকরা কুয়াকাটা ছাড়তে শুরু করছে। আবহাওয়া এমন থাকলে এ সপ্তাহে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে না।
পর্যটক মো. রিসাদ বলেন, কুয়াকাটায় দুদিন থাকব বলে প্লান ছিল পরে তা একদিন থেকেই চলে যাচ্ছি আবহাওয়া ভালো না থাকার কারনে।
হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, আমরা সব সময় পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে থাকি। তারা কোনোভাবেই যেন সমস্যায় না পরে সেভাবে স্পষ্ট করে ঘোষণা দেওয়া আছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, আমরা সদা প্রস্তুত থাকি পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে। গতকাল থেকেই আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে মাইকিং করছি এবং তাদেরকে নিরাপদে থাকতে অনুরোধ করছি।
মন্তব্য করুন