ঢাকার সাভারে বংশী নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে সাভার ফায়ার সার্ভিস। শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সাভারের নামা বাজার ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। পরে সাভার মডেল থানার এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন সাভার ফায়ার সার্ভিসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সাভারের নামা বাজার ব্রিজের উপর থেকে এক অজ্ঞাত এক যুবককে (৩০) বংশী নদীতে লাফ দিতে দেখেন স্থানীয়রা। কিছু সময় পার হওয়ার পরও ওই ব্যক্তি পানির নিচ থেকে না ওঠায় চিন্তিত হয়ে পড়েন তারা। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি সাভারের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তাদের জানান। খবর পেয়ে সাভারের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল ইসলাম হেডকোয়ার্টারে বিষয়টি জানিয়ে ডুবুরি পাঠানোর অনুরোধ জানান। পরে দুইজন ডুবুরিসহ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
ডুবুরিরা দুপুর ২টার দিকে নামা বাজার ব্রিজের নিচ থেকে ওই যুবকের মরহেদ উদ্ধার করে। পরে সাভারের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল ইসলাম মুঠোফোনে বিষয়টি সাভার মডেল থানার ওসিকে বিষয়টি জানান। দীর্ঘক্ষণ পার হলেও থানার পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে কেউ না যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ভ্যানে করে মরদেহ থানায় নিয়ে যান।
সাভারের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের পর প্রথমে বিষয়টি আমি সাভার মডেল থানার ওসিকে অবহিত করি। তবে দীর্ঘক্ষণ পরেও তাদের পক্ষ থেকে কোন সাড়া না পাওয়ায় বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ জানালে এর কিছুক্ষণ পর থানার উপ-পরিদর্শক সৈয়দ হাবীব মুঠোফোনে আমাকে জানান দুপুরের খাবার খেয়ে ৩০ মিনিট পর তিনি ঘটনাস্থলে আসবেন। এদিকে দীর্ঘক্ষণ পানির মধ্যে অভিযান চালিয়ে আমাদের ডুবুরিরাও ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাই তারা বাধ্য হয়ে পুলিশের জন্য আর অপেক্ষা না করে নিজেরাই ভ্যানে করে মরদেহ থানায় নিয়ে যান।’
এসআই সৈয়দ হাবীব বলেন, লাশ উদ্ধারের বিষয়টি আমাকে জরুরি সেবা নাম্বার-৯৯৯ থেকে অবহিত করা হয়। খবর পাওয়ার সময় আমি দুপুরের খাবার খাচ্ছিলাম। তাই আমি বলেছি কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে আসছি। কিন্তু আমি যাবার আগেই তারা নিজেরাই মরদেহ থানায় নিয়ে এসেছেন। পরে মরদেহ নৌ-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘ভিআইপি প্রটোকল এবং সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমরা বেশ ব্যস্ত ছিলাম। তবে মরদেহ উদ্ধারের পর সেখানে যাওয়ার জন্য একজনকে বলা হয়। কিন্তু তার তো ঘটনাস্থলে যেতে ৫/১০ মিনিট সময় লাগার কথা। সে কেন এমনটি করল আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা সঠিক হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন