ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ডিমলায় ভেজাল সার-কীটনাশকে সয়লাব বাজার

ভেজাল সার। ছবি : কালবেলা
ভেজাল সার। ছবি : কালবেলা

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ভেজাল সার ও কীটনাশক দেদার বিক্রি হচ্ছে । দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ ভেজাল রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে চলতি রবি মৌসুমে আলু, পিঁয়াজসহ অন্যান্য রবিশস্য চাষাবাদের কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদনে আশঙ্কা দেখা দেবে বলে ধারণা করছে কৃষকরা।

জানা যায়, উপজেলার ছোট-বড় হাট বাজার ছাড়াও এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট- ছোট দোকানগুলোতেও অত্যন্ত নিম্নমানের ভেজাল সার এবং নামি-বেনামি কোম্পানির কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে দেদার। আলু, পিঁয়াজ, শাকসবজি ও ভুট্টা ক্ষেতের আগাছা এবং ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমনে বাড়তি ফলনের আশায় কম দাম ও নজরকাড়া মোড়ক দেখে এসব কীটনাশক ও সার কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন প্রান্তিক পর্যায়ের সাধারণ কৃষক। শুধু তাই নয়, সারের নতুন বস্তা খুললে দেখা মিলে সারে মিশ্রিত নুরি পাথরের গুঁড়া, ইটের গুঁড়া ও বালুর মিশ্রণ।

এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। গয়াবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ গয়াবাড়ি মৌজার দবিরুল ইসলাম নামের একজন কৃষক বলেন, ২ নভেম্বর পার্শ্ববর্তী এলাকার গোডাউনের হাট থেকে একবস্তা ডলোমাইনট সার ক্রয় করি। পরে জমিতে সার প্রয়োগ করার আগে বস্তা খুলে দেখি সারের সঙ্গে বেশির ভাগই মিশ্রিত রয়েছে সিমেন্টের দানা, বালু ও পাথরের গুঁড়োর মতো দানা। পরে দ্রুত সার দোকানিকে অবগত করলে কিছু করার নেই বলে জানান তিনি। পরে তিনি বলেন, কোম্পানিকে এ সার ফেরত দেব। কোম্পানি যদি এ সার পরিবর্তন করে দেন, তাহলে পাবেন! না হয় কিছুই করার নেই।

অন্য আরেকজন কৃষক কৃষ্ণ কুমার ধর বলেন, আলুক্ষেতে আগাছা ও পোকামাকড় দমনে সিনজেনটা নামক ওষুধ দিয়েছি কোনো কাজ হয় নাই। উল্টো আলু গাছের পাতা সাদা হয়ে গেছে।

একাধিক সার ব্যবসায়ী জানান, কীটনাশক কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাদের বলেন ওষুধে কাজ না হলে টাকা ফেরত। এ সরল বিশ্বাসে আমরা কৃষকদের কাছে ওষুধ বিক্রি করি। তারা পরিবর্তন করে না দিলে, আমরা দেব কীভাবে?

ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) সেকেন্দার আলী বলেন, আমরা বাজারের সার সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যে ৩১০ বস্তা ভেজাল ডলোমাইট সার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর মাধ্যমে জব্দ করেছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডিসেম্বরের ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার 

সালমান এফ রহমানসহ ৬ জনের ‎বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলা

ডা. আসিবুলের বেতন বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না : আদালত

আইজিপির অপসারণ ও বিচার চাইলেন পিন্টুর স্ত্রী

নিবন্ধনহীন নারী রাষ্ট্রের চোখে অদৃশ্য : নারীর অধিকার সুরক্ষায় শতভাগ নিবন্ধন জরুরি

চট্টগ্রামে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বাড়িতে ব্যারিস্টার মীর হেলাল

কালবেলার অনুসন্ধানে ধরা হানিট্র্যাপ চক্র, আটক ২

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ নেতাকে শোকজ

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার : টিআইবি

‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে’

১০

আরএমপির ১২ থানায় ওসি পদে রদবদল

১১

রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন নিয়ে অসন্তোষ

১২

খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য আইইবিতে দোয়া মাহফিল

১৩

৩২ হাজার সহকারী শিক্ষককে দুঃসংবাদ দিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১৪

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সোমবার

১৫

যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা নিয়ে ‘সুখবর’ দিলেন সারাহ কুক

১৬

২০২৬ বিশ্বকাপে মেসিদের কত কিলোমিটার ভ্রমণ করতে হবে?

১৭

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়া নিয়ে নতুন ভাবনা মেডিকেল বোর্ডের

১৮

নওগাঁ জেলা পরিষদ পার্কের অধিকাংশ রাইডস ব্যবহারের অনুপযোগী

১৯

এক সপ্তাহে ১১ হাজারের বেশি প্রবাসীকে ফেরত পাঠাল সৌদি

২০
X