হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় বরাবরই দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বেশ আগেভাগে শীতের আগমনী ঘটে। উত্তরের হিমেল বাতাসে এ বছর শীতের আগমন আশিনের শুরুতেই হওয়ায় প্রতিদিন রাত ও ভোর থেকে কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে গোটা তেঁতুলিয়া উপজেলা। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
সকালে হালকা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় পথঘাট। গাছে গাছে লতা পাতা আর ঘাসের ওপর ঝরছে শিশির বিন্দু। শিশির ভেঙে চাষি ছুটে যান সবুজ ধানের ক্ষেত্রে। রোদের আলোয় ঘাসের ওপর ঝরে পড়া শিশির বিন্দু চকচক করে ওঠে।
শীতের আগমনী বার্তায় প্রস্তুতিও শুরু করেছে এ এলাকার মানুষ। বস্তাবন্দি রাখা গরম কাপড় বের করতে শুরু করেছে। সন্ধ্যায় হাঁটে মাঠে বাটে জমছে চায়ের আড্ডা। শীতের এই সময়টি উপভোগের দারুন সময় বলে মনে করেন অনেকে। তবে দিনের বেলায় শীতের ঠিক উল্টোটাই ঘটছে এ উপজেলায়।
আবহাওয়াবিদদের মতে, আশ্বিন মাসের শেষ সময়ে মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয় থাকায় এবং উত্তরীয় বায়ুর কিছুটা প্রভাব থাকায় শেষ রাতে শীত নেমে আসলে ঠান্ডা অনুভূত হয়। বিশেষ করে মৌসুমি বায়ু যখন বাংলাদেশের ওপর আর সক্রিয় থাকবে না তখন হালকা ধরনের শীত পড়বে। আর উত্তরের শীতের আমেজ তো দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে প্রকট। এর মাত্রা আর অনুভূতি থাকে ভিন্নতর।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেল শাহ জানান, মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকালে সর্বনিম্ন ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। যা গতকাল ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিগত কয়েক দিন ধরে শেষে রাতে ও সকালে কুয়াশা পড়ছে আর সবে মাত্র শীত শুরু। দিন বাড়ার সাথে সাথে বাড়বে শীত। শীতের সাথে তাপমাত্রা কমে আসতে শুরু করবে।
মন্তব্য করুন