পঞ্চগড়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশে ছেড়ে পালিয়েছেন। তিনি পালিয়েছেন, না তাকে পালাতে দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমি মনে করি, সরকারকে অর্থাৎ প্রফেসর ডক্টর ইউনূস ও ডক্টর আসিফ নজরুলকে সরাসরি জবাবদিহি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বার আওলিয়ার মাজারে ওরশ শরিফ ও মেলা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ৯ মাস পরে তিনি কীভাবে দেশ ছেড়ে যায়? আওয়ামী লীগের যে কয়েকজন সুবিধাভোগী বাংলাদেশে ছিল তার মধ্যে অন্যতম তিনি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা তিনি সব সময় পেয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি কত কিছু করেছেন তার প্রমাণ অনেক জায়গায় আছে। সেই মানুষ এই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় ৯ মাস পরে, এটা এই অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।
করিডরের বিষয়ে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো জায়গায় করিডোর দেওয়ার পূর্বে জনগণের রায় লাগবে। বাংলাদেশের যে সমস্ত রাজনৈতিক দল রাজনীতি করছে তাদের রায় লাগবে। এটা কোনো ছোট বিষয় না। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা অনেক জায়গায় দেখছি, তারা গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অবহেলা করছে। এই জায়গায় অবহেলা করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে আমরা অনেক জায়গায় দেখেছি, করিডোরের নাম করে বিদেশি এজেন্ট এসেছে। বিভিন্ন রকম ইন্টেলিজেন্স গোয়েন্দা সংস্থা এসেছে। বিভিন্ন দেশ ঢুকেছে। ইউএন ঢুকেছে। ইউএনের নাম করে বিভিন্ন ধরনের সাম্রাজ্যবাদী মানুষ ঢুকেছে, রাষ্ট্র ঢুকেছে। এই সুযোগ আমরা বাংলাদেশে আর হতে দেব না।
তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ সংস্কার এক দেড় বছরে সম্ভব না। কিন্তু একটি মৌলিক সংস্কার ও এই মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা আমরা নিজে এনসিপির পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে উপস্থাপন করেছি। এই মৌলিক সংস্কারগুলো করে অন্তর্বর্তী সরকার যদি মনে করে আগামী ডিসেম্বর কিংবা জুনে নির্বাচন করতে পারবে তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। এই অন্তর্বর্তী সরকার এখনো আওয়ামী লীগ ও জুলাই গণহত্যার বিচার শুরু করেনি। অবিলম্বে তা শুরু করতে হবে।
এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন