মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সবজির দাম কমলেও বেড়েছে চাল ও চিনির দাম। গত এক সপ্তাহ আগেও বাজারে সবজির দাম অনেকটা আকাশছোঁয়া ছিল। তবে আগাম শীতের সবজি বাজারে আসায় দাম কিছুটা কমতির দিকে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) শ্রীমঙ্গলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহ আগেও বাজারে পাইকারি ৫০ কেজি চালের দাম ছিল ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা। সাত দিনের ব্যবধানে প্রতিটি চালের বস্তায় বেড়েছে ৩০০-৪০০ টাকা।
সোমবার সরজমিনে শ্রীমঙ্গলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আজকের বাজারে লম্বা বেগুন পাওয়া যাচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, গোল বেগুন ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, পেপে ২০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, লাউ ৩০-৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা পিস, প্রতি কেজি লালশাক ১০ থেকে ১২ টাকা, লাউশাক ২৫ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, পটোল ৪৫ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪৫ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ২৯ টাকা, শিম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, শসা ৩০ টাকা এবং কাঁচাকলা ৩০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে সব সবজির দামই কমেছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
শ্রীমঙ্গল নতুন বাজারের ঐশী খাদ্যভান্ডারের প্রোপাইটর রজেন্দ্র পাল (বল্টু) জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের বস্তায় ২০০-৩০০ টাকা বেড়েছে, এক সপ্তাহ আগে মোটা চালের যে বস্তা ২১৫০-২২০০ বিক্রি করছি এখন এই চাল পাইকারি কিনতে হচ্ছে বস্তায় আরও ২০০-৩০০ টাকা বেশি দিয়ে, এসআলম স্পেশাল চাল যেটা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি করছি ২৪০০-২৫০০ টাকা এটা এখন পাইকারি কিনি ২৭০০ টাকা দিয়ে, এসআলম নরমাল, মিনিকেটসহ সকল চালের বস্তায় বেড়েছে ২০০-৩০০ টাকা।
বাজারে আসা ক্রেতা জালাল মিয়া জানান, গত এক মাসে যা আয় করি তা দিয়ে বাজারের চাহিদার অর্ধেক নেওয়া সম্ভব হতো না। এখন সবজির দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। দুপুরে সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন সবজির দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে।
আরেক ক্রেতা শাহজাহান মিয়া বলেন, সবজির দাম কমছে, কিন্তু আমার মনে হয় সব সবজির দাম ৩০ টাকার নিচে আসা উচিত। তাহলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের জন্য সুবিধা হবে।
শহরের পুরাতন বাজারের কাঁচামাল পাইকারী ব্যবসায়ী খালেদ হোসেন জানান, লালশাক প্রতি কেজি ১২ টাকা, লাউশাক ২৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।, ঝিঙ্গে প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছি।
সেন্ট্রাল রোডের মেসার্ম কুমিল্লা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. বিল্লাল হোসেন তালুকদার জানান, আলুর দাম অনেক কমেছে। গত এক সপ্তাহে মুন্সীগঞ্জে আলুর পাইকারি দাম ছিল কেজি ৪২-৫০ টাকা, খুচরা বিক্রি হতো ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আজ এই আলু বিক্রি করছি ৩০ টাকা, আর রাজশাহীর আলু প্রতি কেজি বিক্রি করছি ৩২ টাকা। এক সপ্তাহ আগে পাইকারি ছিল ৪৫-৫৫ টাকা, আর খুচরা ৬৫-৭০ টাকা।
তবে সয়াবিন তেল ও আটার দাম আগের মূল্যে থাকলেও চিনির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন নতুন বাজারের জসিম স্টোরের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, চিনির বস্তাতে বেড়েছে ২০০ টাকা। আগে চিনি কিনতাম ৬৪০০ টাকা দিয়ে, এখন পাইকারি কিনি ৬৬০০ দিয়ে। এদিকে সবজির দাম নিম্নমুখী হওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
মন্তব্য করুন