নিজ ঘরে মা-বাবা ও বোনের সামনে কলেজছাত্র রেজাউল করিম নাঈমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা মো. চেরাগ মিয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা মৌলভীবাজার মডেল থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ পঞ্চম আসামি সাইমন ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের টিভি হাসপাতাল এলাকার বর্ষিজোড়া গ্রামে মো. চেরাগ মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের ঝগড়া হয়। নুরুল ইসলাম দাবি করেন তার ছবি ব্যবহার করে চেরাগ মিয়া ফেইক আইডি চালাচ্ছেন। এর ঘটনার জেরে শুরু হয় হাতাহাতি। একপর্যায়ে চেরাগ মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম নাঈমকে কুপিয়ে আহত করেন অভিযুক্তরা। পরে তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হলে তার মৃত্যু হয়।
দুই ভাই ও একবোনের মধ্যে পরিবারের সবার বড় নাঈম। সে এ বছর মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে।
মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বর্ষিজোড়া এলাকার নুরুল ইসলাম (৫৫), তার ছেলে রনি মিয়া (২৩), আনোয়ার হোসেন (২৪), সোহান মিয়া (১৯), মো. সাইমন ইসলাম, ইমন মিয়া (২১), আল আমিন মিয়া (২০), সাকিল হোসেন (২১), প্রধান আসামি পারভিন বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে জেসি আক্তার।
নাঈমের বাবা মো. চেরাগ মিয়া বলেন, ‘আমার প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের সঙ্গে আমাদের কোনো পূর্বশত্রুতা নেই। বিকেলেও আমার বাড়িতে এসে চা খেয়েছেন তিনি। সন্ধ্যার পর তিনি আমাকে এসে বলেন, আমি না কি তার ছবি দিয়ে আইডি চালাচ্ছি। সেই সময় পাশের রুমে আমার ছেলে ছিল, সে এসে বলেছে ফেক আইডি কে খুলেছে আমাকে দেখান, এখন প্রযুক্তির যুগ এগুলো বের করা যায়। এ কথা বলতেই তার ওপর ক্ষেপে যায় নুরুল ইসলাম। এরপর শুরু হয় আমাদেরকে মারধর। একপর্যায়ে নুরুল ইসলামের ছেলেসহ আরো ১২ থেকে ১৫ জন এলে আমার ছেলে, তার মা, চাচি, বোন ভয়ে অন্যরুমে লুকিয়ে যায়। তারা রুমের দরজা ভেঙে আমার ছেলেকে ধরে এনে কোপায়।’
মন্তব্য করুন