বানৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটির সংযোগ সড়ক কক্সবাজারের পেকুয়া মগনামা-বরইতলী সড়কের প্রশস্তকরণের কাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ শেষ হলেও সড়ক থেকে সরানো হয়নি বৈদ্যুতিক লাইনের বহু খুঁটি। এতে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে পথযাত্রী ও যানবাহন। ফলে যান চলাচলের ব্যাঘাতসহ প্রতিনিয়ত বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। হতে পারে প্রাণহানির মতো ঘটনাও।
পেকুয়া উপজেলার বরইতলি থেকে পেকুয়া- মগনামা বানৌজা শেখ হাসিনা সড়কের মগনামা ঘাট, পেকুয়া চৌমুহনী, পেকুয়া বাজার, মাতবরপাড়াসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সড়কের ওপর বৈদ্যুতিক খুঁটি। এসব বৈদ্যুতিক খুঁটি না সরিয়ে কাজ শেষ করা হচ্ছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকদের চরম ঝুঁকি পূর্ণ অবস্থায় চলাচল করতে হচ্ছে। পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক আবুল কালাম বলেন, ‘এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন জায়গায় চলাচল করতে হয়। সড়কের ওপর বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকার কারণে দিনে যেমন তেমন রিকশা চালানো গেলেও রাতে অনেক সময় অটোরিকশা নিয়ে যেতে কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। দুর্ঘটনার ভয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। সড়কের ওপর থেকে এই বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানো হলে আমাদের কষ্ট লাঘব হবে।’
পেকুয়া সরকারি মডেল জি এম সি ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন বলেন, ‘এ সড়ক দিয়ে আমার স্কুলেরসহ বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিদ্যালয় ও কলেজে আসা-যাওয়া করে। দুর্ঘটনার ভয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এ সড়কের ওপর থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো দ্রুত সরিয়ে নিলে আমরা শঙ্কা মুক্ত হব।’
এই সড়ক সংস্কারের দায়িত্বে রয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামিল ইকবাল। তাদের দাবি, পূর্বের সড়কটি ছিল ১৮ ফুট প্রস্থের। নতুন সংস্কার হওয়া সড়কটির প্রস্থ ৩৬ ফুট। এতে পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো মূল সড়কের উপরে চলে আসছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরও জানান, সড়ক প্রশস্ত করার আগে আমরা বিদ্যুৎ অফিসকে জানিয়েছিলাম খুঁটিগুলো সরিয়ে নিতে। কিন্তু সড়ক সংস্কারের প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ার পরও এ ব্যাপারে তাদের কোনো তৎপরতা দেখছি না। তাই যেখানের খুঁটি সেখানে রেখেই আমাদের কাজ আমরা করে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘সড়কের ওপর বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে পথযাত্রী ও যানবাহন চালকদের। প্রধান সড়কের ওপর বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় মুহূর্তের মধ্যেই ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে খুঁটিগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে পেকুয়া পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিসের এ জি এম দীপন চৌধুরী কালবেলাকে জানান, ‘ইতোমধ্যে আমরা সড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক খুঁটি সরিয়ে নিয়েছি। এইগুলো পুরোনো খুঁটি। সড়ক প্রশস্তকরণ হওয়ার কারণে এগুলো সড়কের মাঝে থেকে গেছে। সড়কের থেকে এগুলো সরানোর কাজ চলমান রয়েছে।’
মন্তব্য করুন