বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল উত্তাল। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) থেকে কক্সবাজারে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনো মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভায় প্রস্তুতির কথা জানান জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান।
ডিসি জানান, উপকূলের সব সাইক্লোন শেল্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে মাইকিং করা হচ্ছে। সাগরে মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে চলে আসতে বলা হয়েছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে ৪ শতাধিক পর্যটক।
জাহাজ মালিকদের সংগঠন স্কোয়াব এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর জানিয়েছেন, বুধবার ৩টি জাহাজে করে ৫১৯ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যায়। তার মধ্যে দুই শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে অবস্থান করে। এর আগেরদিন আরও দেড় থেকে দুইশ পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছিল। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জাহাজ চলাচল শুরু হবে, তখন সেন্টমার্টিনে থাকা পর্যটককে ফিরিয়ে আনা হবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ জানিয়েছেন, সতর্ক সংকেত জারির পর সাগরে অবস্থান করা সিংহভাগ ফিশিং ট্রলার কূলে ফিরে এসেছে। বাকিগুলোও আসার পথে রয়েছে বলে জেনেছি।
মন্তব্য করুন