জামালপুরের মাদারগঞ্জে হাজার হাজার গ্রাহকের শতকোটি টাকার আমানত নিয়ে নয়ছয় ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে স্বদেশ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের বিরুদ্ধে। বারবার তাগিদ দিয়ে কষ্টার্জিত অর্থ ফেরত না পেয়ে হতাশায় দিন পার করছে গ্রাহকরা।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে আনিছুর রহমান আনিছ, হামিদ সরকার, আজিজুল হক, কবির হোসেন, মো. আল আমিন ও আরিফুল হকসহ ৮ জন মিলে উপজেলা সমবায় কার্যালয় থেকে স্বদেশ বহুমুখী সমবায় লিমিটেডের নামে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সমবায় কার্যক্রম শুরু করেন তারা। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে আমানত সংগ্রহ শুরু করে। সরকারি ব্যাংক থেকে তাদের প্রতিষ্ঠানে মুনাফা দিগুণ হওয়ায় দিনে দিনে আমানতকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আনিছ, ভাইস চেয়ারম্যান হামিদ সরকার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল হক, মাসুদ রানা, আরিফুল হক, মো. আল আমিন, নজরুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কবির হোসেনসহ প্রত্যেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বালিজুড়ি বাজারের রিফাত তালুকদার সুপার মার্কেট এ অবস্থিত স্বদেশ বহুমুখী সমবায় সমিতির অফিসে গিয়ে অফিসের স্টাফদের ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। মালিকপক্ষের অফিসে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, কয়েকমাস ধরে মালিকপক্ষের কেউ অফিসে আসছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী গ্রাহক জানান, তিনি সাড়ে ৩ লাখ টাকা রেখেছেন গত ২ বছর আগে। গত ৫ মাস ধরে টাকার জন্য বারবার অফিসে এসেও তিনি টাকা পাচ্ছেন না।
কমল দেবনাথ নামে এক মুদি ব্যবসায়ী বলেন, আমি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাখি, কিন্তু সেই টাকা তারা এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। বারবার তাগিদ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। টাকা চাইতে গেলে বলে জমি নিতে। জমির দাম ৫০ হাজার শতক হলে সেই জমি ১ লাখ টাকা শতক রাখতে চায়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে স্বদেশ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আনিছের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ দেখায়। ভাইস চেয়ারম্যান হামিদ সরকারের বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সরাসরি কথা বলবেন বলে জানান।
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খানের বক্তব্য জানতে তার অফিসে গেলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন