বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চিকিৎসা ফি দিয়েও সেবা পান না বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা

বরিশাল সরকারি বজ্রমোহন কলেজের ছাত্রছাত্রী চিকিৎসা কেন্দ্র। ছবি : কালবেলা
বরিশাল সরকারি বজ্রমোহন কলেজের ছাত্রছাত্রী চিকিৎসা কেন্দ্র। ছবি : কালবেলা

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ছাত্রছাত্রীদের একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র তিন বছর ধরে বন্ধ রেখেছে কলেজ প্রশাসন। এতে করে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কলেজটির প্রায় ৩০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী। অথচ প্রতি সেশনে চিকিৎসা খরচ বাবদ টাকা আদায় করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

কলেজ শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতি বছর চিকিৎসা বাবদ ২৫ টাকা করে দিলেও বছরে ২৫ পয়সারও সেবা পাচ্ছেন না তারা। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। কলেজ প্রশাসন সচেতনভাবেই কৌশলে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাকেন্দ্রটি বন্ধ করেছে। এদিকে কলেজ প্রশাসন বলছে, করোনার কারণে বন্ধ করা হলেও এরপর নতুন করে কোনো চিকিৎসককে নিযুক্ত করা হয়নি।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ বাবদ প্রতি সেশনে ২৫ টাকা করে আদায় করা হয়। বর্তমান শিক্ষার্থীর আনুপাতিক হিসাবে যা বছরে প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এই অর্থ ব্যয় করে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও ওষুধ সরবরাহের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু করোনাকালীন লকডাউনের কথা বলে মৌখিক নির্দেশনায় চিকিৎসকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয় দুই বছর আগে। তারপর আর কাউকে নিযুক্ত করার উদ্যোগ নেয়নি কলেজ প্রশাসন।

অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাওন বলেন, ৩ বছর ধরে চিকিৎসা কেন্দ্রটি বন্ধ। অথচ চিকিৎসার খরচ দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কলেজ প্রশাসন টাকা আদায় বন্ধ করেনি। এই ৩ বছরে কমপক্ষে ২১ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। অথচ আমরা কোনোদিন ১ টাকারও সেবা পাইনি।

অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন, কলেজে যেকোনো সময় যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। বেশিদিন আগের নয়, গত মাসেও আমার এক বন্ধু ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কলেজের চিকিৎসাকেন্দ্র বন্ধ থাকায় তাৎক্ষণিক আমরা চিকিৎসাসেবা নিতে পারিনি। পরে তাকে কলেজ থেকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমাদের সুচিকিৎসার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের চিকিৎসাকেন্দ্রটি চালু করা উচিত। আমরা তো বিনা পয়সায় চিকিৎসা চাই না, টাকা দেই। তারপরও চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন না প্রশাসন।

সর্বশেষ দায়িত্বপালনকারী চিকিৎসক ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ২০১৫ সালে খণ্ডকালীন চিকিৎসক হিসেবে আমাকে কলেজের প্রশাসন নিযুক্ত করেছিল। সপ্তাহে ৩ দিনের চুক্তি থাকলেও আমি পাঁচ দিন যেতাম। তবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমাকে ডেকে কলেজ অধ্যক্ষ চিকিৎসাকেন্দ্রটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানান। এরপর আমি আর কলেজে যাইনি। কিন্তু কলেজ প্রশাসন প্রতারণা করে এখনও চিকিৎসাকেন্দ্রে আমার নাম সংবলিত সাইনবোর্ডটি ঝুলিয়ে রেখেছেন। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি তুলতে না পারেন।

সরকারি ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, করোনার পরে নতুন কোনো চিকিৎসক নেওয়া হয়নি। এ জন্য চিকিৎসাকেন্দ্রটি বন্ধ ছিল। এখন নতুন করে চিকিৎসক নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আসা করি খুব শিগগিরই আমরা চিকিৎসক পেয়ে যাব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বাস্থ্য পরামর্শ / রান্নায় সরিষার তেলে ঝুঁকি ও অসংক্রামক রোগ

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আবারো দুর্ঘটনা, নিহত আরও ৩

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে ৫৮% মার্কিনি : রয়েটার্স

স্পেনের বাইরে লা লিগার ম্যাচ খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাল ফুটবলাররা

দুবাইয়ে যাওয়ার ৪ মাস পরই ৩ কোটির লটারি জিতলেন প্রবাসী

এনজো ফার্নান্দেজের মুখে রিয়াল মাদ্রিদের নাম, বাড়ছে গুঞ্জন

কেশবপুরে নারী সমাবেশ/ / ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি

সাভারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মাসের শুভ উদ্বোধন

তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন, নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীও হবেন : এ্যানি

দলবদলের বাজারে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর রেকর্ড ভাঙা খরচ

১০

ধর্মগড় সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক চার বাংলাদেশি

১১

হাসিনাকে ফেরত পাঠানো নিয়ে মোদিকে ওয়েইসির প্রশ্ন

১২

জাকসুতে প্যানেল দ্বন্দ্ব, পদত্যাগ করে বাগছাস নেতার মিষ্টি বিতরণ

১৩

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যাত্রীসেবা আন্তর্জাতিক মানের করতে চাই : বেবিচক চেয়ারম্যান

১৪

‘আ. লীগ বিদ্যুৎ খাতে চুরির লাইসেন্স দিয়েছিল’

১৫

আ.লীগ নেত্রী রুনু গ্রেপ্তার

১৬

ইসির ইউটিউব চ্যানেল চালু, মিলবে যেসব তথ্য

১৭

শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, গ্রেপ্তারের দাবি শিক্ষার্থী

১৮

চার বিভাগে ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি, পাহাড়ধসের আশঙ্কা

১৯

ভোলায় পাঁচ দিন ২০ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

২০
X