ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুলটি তাদের একমাত্র পারাপারের মাধ্যম। অনেক ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করে এখানকার মানুষজন। এটি কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং ইউনিয়নের ফরেস্ট অফিস-বনকানন বাজার সংযোগ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ চলাচল করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১১ সালে টইটং ইউপির উদ্যোগে সড়কের পাগলির ছড়া খালের ওপর কাঠের টিম্বার ও পিলার দিয়ে নির্মাণ করা হয় একটি কাঠের পুল। পুলটি বেশ কয়েকবার ভেঙে গেলে স্থানীয়দের উদ্যোগে মেরামত করা হয়, যা বর্তমানে চরম ঝুঁকিপূর্ণ। তারপর ও ওই এলাকার বাসিন্দাদের পারাপারের কোনো মাধ্যম না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুল দিয়ে প্রতিদিন পার হতে হচ্ছে তাদের। ১১ নভেম্বর ওই কাঠের পুল দিয়ে চরম ঝুঁকিতে খাটিয়া নিয়ে লাশ বহনের এমন করুণ দৃশ্যের দেখা মেলে। একটি স্থায়ী পাকা কালভার্টের অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ কাঠের তৈরি পুল দিয়ে প্রতিদিন টইটং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টইটং উচ্চ বিদ্যালয়, বনকানন দাখিল মাদ্রাসা, বটতলি শফিকীয়া দাখিল মাদ্রাসা, টইটং স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং নারী ও শিশুসহ অসংখ্য পথচারী ঝুঁকি নিয়ে কাঠের তৈরি পুল দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা একটি লাশের খাটিয়া বহন করতে সীমাহীন কষ্ট হয়।
স্থানীয়রা জানান, এ কাঠের তৈরি পুলটি দিয়ে পারাপারে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন তারা। বিশেষ করে রাতে চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি মানুষ মারা গেলে লাশ বহন করতে হয় বিকল্প সড়ক নয়তো বা ওই পুল দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। একটি পাকা কালভার্ট স্থাপনের দাবি জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টইটং ইউপির ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এটা জানতে পেরেছি, আপাতত চলাচলের জন্য কালভার্টটি মেরামত করে দেওয়া হবে। এটা এখনো টেন্ডার হয়নি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবু তাহের জানান, এটা এখনো টেন্ডার হয়নি, তবে বিষয়টা আমাদের নজরে আছে, টেন্ডারের আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে।
মন্তব্য করুন