বগুড়ার বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। নবান্নের দিন থেকেই আগাম জাতের এই আলু বাজারে উঠেছে। অল্প পরিমাণ আলু দেখা গেলেও দাম হাঁকা হচ্ছে আকাশছোঁয়া।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বগুড়া শহরের ফতেহ আলী, রাজাবাজারে নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। আবার কেউ কেউ ২০০ টাকা পর্যন্ত খুচরা বাজারে বিক্রি করছে।
সনাতন ধর্মালম্বীদের পঞ্জিকা অনুযায়ী শনিবার (১৮ নভেম্বর) ছিল নবান্ন উৎসব। উৎসবকে ঘিরেই আগাম জাতের নতুন আলু বাজারে তোলা হয়। নবান্নে জামাইসহ আত্মীয়স্বজনদের আপ্যায়ন করা হয়। খাদ্য তালিকায় মাছসহ নতুন আলু থাকে। আর এ কারণেই বাজারে নতুন আলুর চাহিদা বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা নবান্ন উৎসবকে সামনে রেখে বাজারে নতুন আলু নিয়ে আসেন।
গতকাল সোমবার (২০ নভেম্বর) বগুড়ার বৃহৎ পাইকারি বাজার রাজাবাজার ও ফতেহ আলী বাজারে দেখা গেছে, কয়েকজন ব্যবসায়ী নতুন আলু বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি ছোট আকারের ১২০ টাকা এবং বড় আকারের ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
আলু ব্যবসায়ী ইসাহাক আলী বলেন, নবান্ন উপলক্ষে প্রথমবারের মতো বাজারে নতুন আলু এসেছে। এটি আগাম জাতের আলু। নীলফামারী এলাকা থেকে এই আলু আমি সংগ্রহ করেছি। এখন প্রতিদিনই টুকটাক নতুন আলু পাওয়া যাচ্ছে।
গতকাল বগুড়ার বাজারে পুরাতন পাকরি আলু পাইকারি প্রতি কেজি ৫৬ টাকা এবং স্টিক জাতের আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরা পর্যায়ে এই আলু পাইকারি ৬০ টাকা এবং স্টিক জাতের আলু ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেইসঙ্গে ভারতীয় আমদানি করা আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকাতেই আছে।
রাজাবাজার আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, প্রতিবছরই নবান্ন উৎসবের সময় বাজারে নতুন আলু আসে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। শুধু সনাতন ধর্মালম্বীরা নয়, সবাই নতুন আলু কিনে থাকে।
বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মতলুবর রহমান জানান, এবার প্রচুর জমিতে আগাম জাতের আলু লাগিয়েছে কৃষক। খুব শিগগিরই সেই আলু বাজারে আসবে। তখন ধীরে ধীরে দাম কমে যাবে।
মন্তব্য করুন