চাঁদপুরের মতলব পল্লি সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মুরাদ হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে গ্রাহকদের হয়রানিরও ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ব্যাংক কার্যালয়ে এ অর্থ লোপাটের ঘটনা জানাজানি হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
ব্যাংকটির গ্রাহক রুমি আক্তার বলেন, আমার পরিবারের ৬ সদস্যের বিপরীতে প্রথম ৬ লাখ টাকা এসএমই লোন পাশ করা হয়। যেখানে আমাদের দেওয়া হয় মাত্র ২ লাখ টাকা। বাকি ৪ লাখ টাকা না দিয়ে তা লোপাট করেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা মুরাদ। যেখানে লোনের ২ লাখ টাকার বিপরীতে ৭০ হাজার টাকাও প্রদান করেছি।
রুমি আক্তার আরও বলেন, ‘একটা সময় এসে জানতে পারলাম আমাদের নামে উঠানো ৬ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এরপর পুনরায় আরও ৯ লাখ টাকা উঠিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা মুরাদ। পরে ব্যাংকে অডিট আসলে আমাদের অর্থনৈতিক সুবিধা দেবে বলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি প্রত্যয়ন পত্রে স্বাক্ষর নেন। এখন ওই ঋণের টাকার জন্য শাখা ব্যবস্থাপক মুরাদ আমাদের পরিবারকে চাপ দিচ্ছেন। আমরা এ প্রতারণার উপযুক্ত বিচার প্রত্যাশা করছি।’
মতলব পল্লি সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠকর্মী অমল চন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘৯ লাখ টাকা ঋণ প্রদানের বিষয়ে আমরা কেউই কিছু জানতাম না। অডিট আসলে শাখা ব্যবস্থাপক আমাকে জোড় করে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে মতলব পল্লি সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মুরাদ হোসেন বলেন, ‘নিয়ম মেনে রুমি আক্তারের পরিবারকে ৯ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। যার মধ্যে তারা ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করলেও এখন বাকি টাকা পরিশোধ করছে না। এখন বাকি টাকা চাওয়ায় একটা ঝামেলা পাকাতে নাটক সাজানোর চেষ্টা করছে।’
এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ থানার এস আই শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুপক্ষকে নিয়ে ঘটনাস্থলে শান্ত করেছি। বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
মন্তব্য করুন