ওমর ফারুক নাঈম, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

পুরুষশূন্য সাবেক অর্থমন্ত্রীর গ্রাম, ১১ মামলায় জেলে দেড় শতাধিক

মৌলভীবাজার জেলা ম্যাপ। গ্রাফিক্স : কালবেলা
মৌলভীবাজার জেলা ম্যাপ। গ্রাফিক্স : কালবেলা

বিএনপি চলমান আন্দোলন হরতাল অবরোধের কর্মসূচি ঘিরে নাশকতা মামলায় ঘরছাড়া জীবনযাপন করছেন মৌলভীবাজার জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া হরতাল আর অবরোধের দুই সপ্তাহের কর্মসূচিতে ১১ মামলায় আসামি করা হয়েছে হাজারো নেতাকর্মীকে। এসব মামলায় আটক হয়ে জেলে আছেন দেড়শতাধিক নেতাকর্মী। গ্রেপ্তার আতঙ্কে বর্তমানে ঘরছাড়া জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারাসহ অন্তত পাঁচ হাজার নেতাকর্মী। বিশেষ করে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাহারমর্দন গ্রামের সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের গ্রাম হয়ে গেছে প্রায় পুরুষশূন্য।

বিএনপির সূত্রে জানা যায়, দুই সপ্তাহের কর্মসূচিতে ১১ মামলা দায়ের হয়েছে। মহাসড়কে সড়কে যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলাগুলোতে। ঢাকায় মহাসমাবেশের পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে অধিকাংশ নেতাকর্মী ঘরছাড়া। অধিকাংশ নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলার আসামিরা তো বটেই, মামলা নেই এমন নেতাকর্মীও বাড়িতে থাকতে সাহস পাচ্ছেন না। সর্বশেষ গত ৯ নভেম্বর বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন অন্তর্ঘাত কর্মকাণ্ড সৃষ্টির অপরাধের অভিযোগে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের মামাতো ভাই জেলা বিএনপিরসহ সভাপতি বদরুল আলমসহ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আমির মোহাম্মদ, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক জনি আহমদসহ ১১ জনকে সুনির্দিষ্ট আসামি করে আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে পুলিশ মামলা করেছে। এর মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই পিপলুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এর আগে ৫ নভেম্বর চাঁদনীঘাট ইসলামপুর এলাকার মৌলভীবাজার টু রাজনগরগামী সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও টায়ার জ্বালিয়ে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক এম এ মোহিত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইসহাক আহমদ চৌধুরী মামুন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহানসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন মডেল থানার উপপুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হোসেন। একই দিনে ঢাকা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিসাধন ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোহিত কে প্রধান আসামি করা হয়। এ মামলায় আসামি করা হয় জেলা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানসহ ৩১ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। এ মামলায় বাদী হন সদর মডেল থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুল আলম। গত ৬ নভেম্বর শ্রীমঙ্গল থানায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি ও জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল মিয়াসহ স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের ১২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার বাদী শ্রীমঙ্গল থানার উপপুলিশ পরিদর্শক সজীব চৌধুরী।

মামলায় বলা হয়, হবিগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড এলাকায় শাহীবাগ রাস্তার মোড়ে ঢাকা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মামলা রুজু করেন। গত ৯ নভেম্বর মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মো. মুখলেছুর রহমান লস্কর বাদী হয়ে সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিসাধন ও জনসাধারণ চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন প্রকার সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড সৃষ্টির অপরাধে প্রয়াত মন্ত্রীর ভাই বদরুল আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে রজু কৃত মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ মামলার পলাতক প্রধান আসামি করা হয়েছে, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জনি আহমদকে। এ ছাড়াও আসামি করা হয়, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহানসহ অজ্ঞাত নামা ১৫ থেকে ২০ জনকে।

বিএনপির ঢাকায় মহাসমাবেশের পর থেকে অবরোধ চলাকালীন এ পর্যন্ত সারা জেলায় মোট ১১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজার জেলা সদর মডেল থানায় ৩টি, শ্রীমঙ্গলে ২টি, কমলগঞ্জে ১টি, কুলাউড়ায় ২টি, বড়লেখায় ১টি, জুড়ীতে ১টি ও রাজনগর উপজেলায় ১টি মামলা রজু করা হয়েছে। সবগুলো মামলার বাদী পুলিশ।

সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর ভাই বদরুল আলমের বাহারমর্দানের বাড়িতে গত বুধবার (৮ নভেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) পুলিশ অভিযান চালায়। ফলে সাবেক অর্থমন্ত্রীর গ্রাম বাহারমর্দান এখন পুরুষশূন্য এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান ও গ্রেপ্তারের ভয়ে বিএনপি সমমনারাও বাসা বাড়িতে নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাহারমর্দানের বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও ঘরবাড়ি ছাড়া। রাত দিন সমান তালে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের নজরদারি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় ঘুরপাক করে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে।

এখন পর্যন্ত জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মো. মুছা মিয়া, জেলা বিএনপির সহক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হাই পিপলু, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউর রহমান, বড়লেখা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান খসরু, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ময়নুল ইসলাম বকুলসহ জেলাসদর সহবিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি ও যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, কৃষকদল, মৎস্যজীবীদলসহ অঙ্গসংগঠনের দেড় শতাধিক নেতাকর্মী কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ভিপি মিজান, সহসভাপতি আশিক মোশাররফ, হেলু মিয়া, সহসাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, মুহিতুর রহমান হেলাল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মনোয়ার আহমদ রহমান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক এম এ মোহিত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জিএমএ মুক্তাদির রাজু, সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইসহাক আহমদ চৌধুরী মামনুন, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ আহমেদ মাহফুজ, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মোনায়েম কবির, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী। তাদের বাড়িতে দফায় দফায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ভিপি মিজান বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মামলা আর নতুন কিছু নয়। গত ১৫ বছর ধরেই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়েছে। কিছুদিন মিথ্যা মামলা দেওয়া বন্ধ থাকলেও গত দুই সপ্তাহ খানেক ধরে আবারও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১১টি মামলা দেয়া হয়েছে। হয়তো আরো মামলা হবে। এই মামলা দিয়ে সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতে চায়। কিন্তু রাজনীতি যারা করে তারা দৃঢ় মনোবল নিয়েই করে। আর এই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে টিকে থাকতে হলে মনোবল দৃঢ় না হয়ে উপায় নেই। মামলা হলে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়। তবে আমরা আমাদের আন্দোলন, সংগ্রাম চালিয়ে যাব। কোনো হামলা মামলা আমাদের কিংবা আমাদের নেতাকর্মীদের মনোবল কমাতে পারবে না।

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান বলেন, জেলা বিএনপির ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে বিনা কারণে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত বিএনপি, যুবদল স্বেচ্ছাসেবক, শ্রমিকদল, কৃষক দলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের দেড় শতাধিক আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে। এ অবৈধ শাসকগোষ্ঠী ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে জনগণের ওপর ভয়াবহ দুঃশাসন জারি রাখতে চায়। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতে গায়েবি মামলা দিয়ে নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করে যাচ্ছে। পিতার বদলে পুত্র ও ভাইয়ের বদলে ভাইকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান ব্রিফিংয়ে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা এই অবরোধকালীন সময়ে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সবসময় তৎপর, আমরা মানুষের জানমাল রক্ষায় সতর্কতার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা কোনো দুষ্কৃতকারীকে মৌলভীবাজার জেলায় তাদের অপকর্ম করতে দেব না। মৌলভীবাজারের জনগণ নির্ভয়ে রাস্তাঘাটে বের হবেন, আপনাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম করবেন। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্য আপনাদের পাশে আছে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেন মৌলভীবাজার জেলার সম্মানিত নাগরিকগণ যাতে স্বাভাবিকভাবে তাদের কাজকর্ম করতে পারেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পবিপ্রবিতে অর্থ কেলেঙ্কারি, ২ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

শাহজালালে ১৩০ কোটি টাকার কোকেন উদ্ধার

ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডি : দিবসেই শুধু কদর বাড়ে নিহতদের পরিবারের

৩৫ বছর ধরে বেদখলে থাকা জমি ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্ধার

ঘোষিত দলে কেন জায়গা হয়নি নেইমারের, জানালেন আনচেলত্তি

মাছের মাথার ‘সোনার মণি’ বিক্রি করে লাখ টাকা আয় নেওয়াজের

পার্লামেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, এক রাতেই সব পুড়ে ছাই

থালাপতির মতো কেন জনতার নায়ক হতে পারলেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা?

সেনাবাহিনীর গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা, ৮ সদস্য আহত

ইরানের সঙ্গে বসছে ইউরোপের তিন শক্তি

১০

নিউইয়র্কে কনস্যুলেটের ঘটনায় মিশনের ব্যাখ্যা

১১

আজকে স্বর্ণের বাজার দর

১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউ শুনানি শুরু

১৩

বোলিং করতে না দেওয়ায় অধিনায়ককে গুলি করে হত্যা

১৪

জেনে নিন উচ্চ রক্তচাপের ১২ কারণ

১৫

১৬ বছর বয়সী কিশোরের ইতিহাস গড়া ম্যাচে লিভারপুলের শ্বাসরুদ্ধকর জয়

১৬

রুমিন ফারহানাকে নিয়ে অজানা গল্প বললেন আরজে কিবরিয়া

১৭

গাঁজা নিয়ে কারাগারে প্রবেশকালে কর্মচারী আটক

১৮

ডাকসুর প্রচারণায় মানতে হবে যেসব আচরণবিধি

১৯

চাকসু নির্বাচনে প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারের অব্যহতি চেয়েছে ছাত্রদল

২০
X