ঈদুল আজহার আগের দিন সাভারে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাটগুলো। গত কয়েক দিন হাটগুলোতে তেমন একটা মানুষের আনাগোনা না থাকলেও গত দুদিনে বৃষ্টি উপেক্ষা করেও ক্রেতারা ভিড় করছেন পশুর হাটগুলোতে।
বিক্রেতারা জানান- এখন কোরবানির জন্য ভারত, মিয়ানমার, ভুটান থেকে দেশে গরু-মহিষ কম আসছে। ফলে এখন কোরবানির বাজার পুরোপুরি দেশি পশুর ওপর নির্ভরশীল। এতে আগামী দিনে খামারিরা গরু পালনে আরও উৎসাহী হবে। লোকসানের মুখে পড়তে হবে না স্থানীয় খামারিদের। তবে গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরুর দাম কিছুটা বেশি।
ক্রেতারা জানান, গত বছরের চেয়ে এবার গরু ও খাসির দাম অনেক বেশি। পশুর এমন উচ্চ মূল্যের কারণে অনেক ক্রেতাই হতাশ।
সাভার পৌর এলাকার রেডিও কলোনি কোরবানির হাটে গিয়ে দেখা যায়, পছন্দের পশুটি কিনতে অনেকেই এসেছেন এই হাটে। কেউ একা এসেছেন, কেউ এসেছেন দলবেঁধে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের এই উপস্থিতি যেন ঈদ উৎসবেরই অংশ।
শুধু পৌর গরুর বাজার নয়, উপজেলার প্রতিটি হাটেই পছন্দের কোরবানির পশু কিনতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। দাম যাই হোক শেষ পর্যন্ত পছন্দের পশুটি কিনে বাড়ি ফিরছেন অনেক ক্রেতা, আবার অনেকেই দাম বেশির কারণে কিছুটা অপেক্ষা করছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
রেডিও কলোনি হাটে গরু ক্রয় করতে আসা মো. আকরাম জানান, গত বছরের চেয়ে গরুর দাম এ বছর আরও বেড়েছে। গতবার মাঝারি গরু কিনতে ৭০-৮০ হাজার টাকা লাগলেও এ বছর সেই গরু কিনতে ১ লাখ টাকা লাগছে।
রেডিও কলোনি পশুর হাটের ইজারাদার মো. শামীম হাসান জানান, ছিনতাই-চাঁদাবাজি ঠেকাতে ও হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও ট্রাফিক উত্তর) আব্দুল্লাহিল কাফী জানান, হাটগুলোর নিরাপত্তার জন্য পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করছে। জাল নোট ঠেকানোর জন্য পুলিশের নজরদারি রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাপারীদের পশু আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রেও পুলিশের বাড়তি নজরদারি রয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ শতভাগ কাজ করছে।
মন্তব্য করুন