কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই কক্সবাজার-১ আসনের আ.লীগ প্রার্থীর

সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত
সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঋণ খেলাপির অভিযোগে কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ সিআইপির মনোনয়নপত্র বাতিল করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহিন ইমরান। এ আদেশের বিরুদ্ধে ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন সালাহ উদ্দিন আহমদ। রিটের শুনানি শেষে সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপিকে ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে বাদ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিন্নাত হকের বেঞ্চ। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন বিচারক। এতে সালাহউদ্দিন আহমেদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা রইল না।

রিটে সালাহউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন, একটি অর্থ ঋণ মামলায় গত ১১ নভেম্বর অর্থঋণ চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা জজ আদালত মামলা এবং ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে আমাকে বাদ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেন ওই আদালত। রায়ের কপি সংশ্লিষ্ট জনতা ব্যাংক চট্টগ্রাম লালদিঘি শাখায় পাঠানো হয়। কিন্তু ওই ব্যাংক শাখা থেকে রায়ের কপি বাংলাদেশ ব্যাংকে সরবরাহ করা হয়নি। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাটাবেজ ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) আমার নামটি ঋণ খেলাপির তালিকায় রয়ে যায়। তথ্য সরবরাহ না করার ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তার আইনজীবী তফিকুল ইসলাম খান জানান, গত ৬ ডিসেম্বর সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপির পক্ষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিন্নাত হকের বেঞ্চে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। রিট শুনানি শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাটাবেজ ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) থাকা ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে তার নামটি বাদ দিতে আদেশ দেন হাইকোর্টের এ বেঞ্চ। এ আদেশের পর আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সালাহউদ্দিনের অংশ নিতে বাধা থাকল না।

এ ব্যাপারে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ছয়জনের অংশীদার নিয়ে আমরা ফিস প্রিজারভার্স লি. নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করি। আমি প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলাম। প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে জনতা ব্যাংক চট্টগ্রাম লালদিঘি শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে কোম্পানির সব সম্পদ এবং দায়-দেনা চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রয় করে দেওয়া হয়। নানা কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেলে ঋণখেলাপি হয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। যিনি কোম্পানির মালিকানা ক্রয় করেন তিনি ঋণের টাকা পরিশোধ করেনি। ফলে জনতা ব্যাংক চট্টগ্রাম লালদিঘি শাখা ঋণখেলাপি হিসেবে কোম্পানির আগের মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যেখানে আমার নামটিও রয়েছে। বিক্রি করার ফলে আইনত আমরা দায়বদ্ধ নই। যার কারণে মহামান্য হাইকোর্ট মামলা থেকে আমর নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফেসবুকে দিয়েছিলেন বিনামূল্যে লাশ পরিবহনের খবর, তিনিই এখন যাত্রী!

দুর্নীতি ও বৈষম্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ছে : ইসলামী সমাজ

মোমের আলোয় প্রয়াতদের স্মরণ করেন স্বজনরা

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষ, অস্ত্র প্রদর্শন

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণ এখন সর্বোচ্চ দামে

খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও অবদানকে মূল্যায়ন করবে জনগণ : রহমাতুল্লাহ

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা : ফরম পূরণের সময় বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি

শাহজালাল বিমানবন্দরে পণ্য রাখার নতুন স্থান নির্ধারণ

ভিসা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ মিলছে ৪২ দেশের নাগরিকদের

বাগেরহাটে কলেজ ছাত্রদল সভাপতির ওপর হামলা

১০

ঘাস চিবিয়ে মাঠ ‘অনুভব’ করতেন রোনালদো!

১১

মালয়েশিয়ায় কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

১২

৭ লাখ বছর পর জেগে উঠছে ইরানের তাফতান আগ্নেয়গিরি!

১৩

শিক্ষক নিয়োগে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি কবে, জানাল এনটিআরসিএ

১৪

গণভোট নিয়ে গড়িমসি করছে সরকার : জামায়াত

১৫

চেতনা চাপিয়ে দেওয়ার রাজনীতি বাংলাদেশে আর হবে না : শিবির সভাপতি

১৬

ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলা, কোস্টগার্ডের গুলি

১৭

গুগলে কম সময়ে প্রয়োজনীয় তথ্য জানার ৫ কার্যকর কৌশল

১৮

রোনালদোর ‘হাজার গোল’ ছোঁয়ার ভবিষ্যদ্বাণী এআই-এর!

১৯

চট্টগ্রাম বন্দরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মবিরতি

২০
X