দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঋণ খেলাপির অভিযোগে কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ সিআইপির মনোনয়নপত্র বাতিল করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহিন ইমরান। এ আদেশের বিরুদ্ধে ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন সালাহ উদ্দিন আহমদ। রিটের শুনানি শেষে সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপিকে ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে বাদ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিন্নাত হকের বেঞ্চ। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন বিচারক। এতে সালাহউদ্দিন আহমেদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা রইল না।
রিটে সালাহউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন, একটি অর্থ ঋণ মামলায় গত ১১ নভেম্বর অর্থঋণ চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা জজ আদালত মামলা এবং ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে আমাকে বাদ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেন ওই আদালত। রায়ের কপি সংশ্লিষ্ট জনতা ব্যাংক চট্টগ্রাম লালদিঘি শাখায় পাঠানো হয়। কিন্তু ওই ব্যাংক শাখা থেকে রায়ের কপি বাংলাদেশ ব্যাংকে সরবরাহ করা হয়নি। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাটাবেজ ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) আমার নামটি ঋণ খেলাপির তালিকায় রয়ে যায়। তথ্য সরবরাহ না করার ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তার আইনজীবী তফিকুল ইসলাম খান জানান, গত ৬ ডিসেম্বর সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপির পক্ষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিন্নাত হকের বেঞ্চে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। রিট শুনানি শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাটাবেজ ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) থাকা ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে তার নামটি বাদ দিতে আদেশ দেন হাইকোর্টের এ বেঞ্চ। এ আদেশের পর আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সালাহউদ্দিনের অংশ নিতে বাধা থাকল না।
এ ব্যাপারে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ছয়জনের অংশীদার নিয়ে আমরা ফিস প্রিজারভার্স লি. নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করি। আমি প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলাম। প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে জনতা ব্যাংক চট্টগ্রাম লালদিঘি শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে কোম্পানির সব সম্পদ এবং দায়-দেনা চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রয় করে দেওয়া হয়। নানা কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেলে ঋণখেলাপি হয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। যিনি কোম্পানির মালিকানা ক্রয় করেন তিনি ঋণের টাকা পরিশোধ করেনি। ফলে জনতা ব্যাংক চট্টগ্রাম লালদিঘি শাখা ঋণখেলাপি হিসেবে কোম্পানির আগের মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যেখানে আমার নামটিও রয়েছে। বিক্রি করার ফলে আইনত আমরা দায়বদ্ধ নই। যার কারণে মহামান্য হাইকোর্ট মামলা থেকে আমর নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন