কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
আপডেট : ০৯ মে ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাজধানীর ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র

বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কারের বই তুলে দেওয়া হয়। সৌজন্য ছবি
বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কারের বই তুলে দেওয়া হয়। সৌজন্য ছবি

বইপড়া কর্মসূচিতে কৃতিত্বপূর্ণ অংশগ্রহণের জন্য ঢাকা মহানগরের ৭৫টি স্কুলের ৫ হাজার ৯৪ শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করেছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন।

শুক্রবার (৯ মে) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী উৎসবে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কারের বই তুলে দেওয়া হয়।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং গ্রামীণফোনের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রথম দিনে (শুক্রবার) ৩১টি স্কুলের ২ হাজার ৫৬৩ শিক্ষার্থী চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার গ্রহণ করে। শনিবার (১০ মে) দ্বিতীয় দিনে আরও ২ হাজার ৫৩১ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ ও গণনীতি বিশ্লেষক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তানভীর মোহাম্মদ, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম, অভিনেতা ও লেখক খায়রুল আলম সবুজ এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন।

পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘পাঠ্যবই মানে চাকরি, কিন্তু পৃথিবীর সেরা লেখকদের বইয়ে রয়েছে আনন্দ ও আলোর সন্ধান।’

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘সরকার শিক্ষা সংস্কারে উদ্যোগ নিচ্ছে না। একটি মানসম্পন্ন ও বৈষম্যহীন শিক্ষা কাঠামোর প্রয়োজন।’

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আজকের পাঠকরা যদি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়, তাহলে তারা আগামীতে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারবে।’

গ্রামীণফোনের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স প্রধান তানভীর মোহাম্মদ বলেন, ‘মানুষের মানসিক উৎকর্ষে বই পড়ার বিকল্প নেই। এই কর্মসূচির অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত।’

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী নকী বলেন, ‘ভালো বই শুধু গল্পই বলে না, পাঠকের কথাও শোনে। যারা বই পড়ে, তারা জীবনের গভীরতা অনুভব করতে পারে।’

উল্লেখ্য, এ বছর ঢাকা মহানগরের ৭৫টি স্কুল থেকে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী এই বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। সেখান থেকে নির্বাচিত ৫ হাজার ৯৪ শিক্ষার্থীকে ‘স্বাগত’, ‘শুভেচ্ছা’, ‘অভিনন্দন’ ও ‘সেরাপাঠক’- এই চার ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সেরা পাঠকদের মধ্যে প্রতি ১০ জনে একজনকে লটারির মাধ্যমে বিশেষ পুরস্কারও দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি 

এক নজরে দেখে নিন এশিয়া কাপে অংশগ্রহণকারী ছয় দলের স্কোয়াড

জনবল সংকট আর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ধুঁকছে স্বাস্থ্যসেবা

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

পলক-আনিসুল-সালমান-কামরুলসহ ৬ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার 

জেনে নিন বাড়তি আয়ের ৫টি চমৎকার উপায়

সীমানা পুনর্নির্ধারণ: ইসিতে চতুর্থ দিনের শুনানি চলছে

ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালালের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

আইপিএল থেকে অবসরের ঘোষণা তারকা স্পিনারের

শাহবাগ মোড় অবরোধ করে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১০

শাহরুখ-দীপিকার বিরুদ্ধে এফআইআর

১১

বিদ্যুতায়িত মাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল মেয়েরও

১২

শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে কঙ্গো গেলেন পুলিশের ১৮০ সদস্য

১৩

স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক তারকা ক্রিকেটারের আবেগঘন বার্তা

১৪

সবুজের আঁচলে পাহাড়ি জীবনের ভরসা জুম চাষ

১৫

আর্জেন্টিনাকে যে শাস্তি দিল ফিফা

১৬

আমান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

১৭

আসছে বাহুবলি: দ্য এপিক

১৮

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নিজের সেরা ইনিংস কোনটি, শচীনের উত্তর শুনে অবাক সবাই

১৯

নদীপাড়ের ফসলি জমিতে মাটি কাটার মহোৎসব

২০
X