কুমিল্লা ব্যুরো
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:২৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

এমপি বাহাউদ্দীনের ১৯ কোটি টাকার সম্পদ বেড়েছে 

আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার। ছবি : সংগৃহীত
আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার। ছবি : সংগৃহীত

কুমিল্লা সদর আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের গত ৫ বছরে নিজ নামে ১৯ কোটি ২৫ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ বেড়েছে। এ ছাড়াও স্থাবর সম্পদের মধ্যে যৌথ মালিকানায় শহরের সোনালী স্কয়ার ভবন রয়েছে। যার মূল্যমান তিনি বলেছেন ১৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এমপি বাহারের ব্যবসা ও অন্যান্য খাত থেকে বছরে আয় হয় ৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় দেওয়া হলফনামায় তিনি এ সব তথ্য দিয়েছেন।

হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের স্থাবর (সোনালী স্কয়ার ছাড়া) ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে নিজ নামে মোট ২৮ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে অস্থাবর ৭ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার টাকার এবং স্থাবর ২১ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। ৫ বছর আগে এমপি বাহারের স্থাবর সম্পদ ছিল ১ কোটি ৮৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার। গত ৫ বছরের মধ্যে অস্থাবর সম্পদ তেমন বাড়েনি বলে তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। ৫ বছর আগে তার অস্থাবর সম্পদ ছিল ৭ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ৭৮১ টাকার।

কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দীনের হলফনামা অনুযায়ী তার বাৎসরিক আয় ৮ কোটি ৩৯ লাখ ১৮ হাজার ৩২৫ টাকা। এর মধ্যে কৃষিখাত বা সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী ভাতা পান ২৩ লাখ ১১ হাজার ৩২৫ টাকা, বাড়ি বা এপার্টমেন্ট দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ পান ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করেন ৭ কোটি ৬৭ লাখ ৮৭ হাজার এবং অন্যান্য লিমিটেড কোম্পানী থেকে আয় ৩০ লাখ টাকা।

তার ওপর নির্ভরশীলদের মধ্যে ব্যবসা থেকে তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছার আয় ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, মেয়ে আজিজা বাহারের আয় ১০ লাখ টাকা। তার স্ত্রীর শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত ৪৭ হাজার ২২ টাকা, পেশা থেকে বছরে আয় ৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

হলফনামায় আ ক ম বাহাউদ্দীন উল্লেখ করেন অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নিজ নামে নগদ টাকা ৬ লাখ ৭ হাজার ৯০, স্ত্রীর নামে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৮৪ টাকা ও নির্ভরশীলদের নামে ৮১ হাজার ৬২০ টাকা রয়েছে। আর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের মধ্যে নিজ নামে ২ কোটি ৪৮ লাখ ৭২ হাজার ৯১০ টাকা, স্ত্রীর নামে ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯১৬ টাকা, নির্ভরশীলদের নামে ৪৬ লাখ ৪৮ হাজার ৩৮০ টাকা রয়েছে।

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় কোম্পানির শেয়ার নিজ নামে- নাইস পাওয়ার এন্ড আইটি লি: ১৫ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ১২ লাখ টাকা, নির্ভরশীলদের নামে ১০ লাখ টাকা, সোনালী সুটস্ লি: ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ২৫ লাখ এবং নির্ভরশীলদের নামে ২৫ লাখ টাকা, নাসুয়া এসোসিয়েট লি: ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মাইন্ড মোভার লি: নিজ নামে ৫০ লাখ টাকা, এ সিক্স লি: ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এম বি টেক্সটাইল এন্ড ফ্যা: লি:- নিজ নামে ১০ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং নির্ভরশীলদের নামে ৪ লাখ টাকা, গোমতী ডিষ্টিবিউশন লি:- নিজ নামে ১০ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ১০ লাখ এবং নির্ভরশীলদের নামে ১০ লাখ টাকা। এছাড়া স্ত্রীর নামে ময়নামতি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল লি:- ১৫ লাখ টাকা রয়েছে।

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে দুটি জীপ গাড়ি একটির মূল্য ৮৮ লাখ এবং অপরটির মূল্য ৯০ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে কার ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্বর্ণ ও অন্যান্য ধাতু নিজ নামে ৬০ হাজার টাকা, স্ত্রীর ১৫ তোলা ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং নির্ভরশীলদের আছে ৫ তোলা স্বর্ণ, যার মূল্য অজানা।

ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মধ্যে নিজ নামে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্ত্রীর ১ লাখ ৬০ হাজার এবং নির্ভরশীলদের নামে ৬০ হাজার টাকা। আসবাবপত্র নিজ নামে ২ লাখ ৫০ হাজার এবং স্ত্রীর নামে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া নিজ নামে রিভলবার ও সর্টগান ২ লাখ টাকার।

এমপি বাহারের স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে অকৃষি জমি ও অর্জনকালীন সময়ে আর্থিক মূল্য ৩৫ লাখ টাকা, উত্তরা প্লট ও হাউজিং এস্টেট কুমিল্লা ১০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। কুমিল্লা শহরের মুন্সেফবাড়ি আবাসিক বা বাণিজ্যিক দালান মূল্য ২০ লাখ টাকা, কুমিল্লা টাউন হল সুপার মার্কেট অর্জনকালীন সময়ে মূল্য ৩৫ লাখ টাকা। যৌথ মালিকানায় কুমিল্লা শহরের মনোহরপুরে সোনালী স্কয়ার ১৯ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

কুমিল্লার মুন্সেফবাড়ি এলাকার বাড়ি বা এপার্টমেন্ট আর্থিক মূল্য নিজ নামে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ঢাকার উত্তরায় ৪২ লাখ ৫০ হাজার, নির্ভরশীলদের নামে ঢাকার উত্তরায় ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকার।

এমপি বাহাউদ্দীনের অন্যান্য ঠিকাদারী মালামাল ও ব্যবসার মূলধন নিজ নামে ১৮ কোটি ১০ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ৩২ লাখ টাকা, নির্ভরশীলদের নামে আছে ১৫ লাখ টাকা।

৫ বছর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় আ ক বাহাউদ্দীনের নিজ নামে স্থাবর সম্পত্তি ছিলো ১ কোটি ৮৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার।

হলফনামায় উল্লেখিত দায় দেনাসমূহের মধ্যে রয়েছে কুমিল্লা শহরের মনোহরপুরস্থ সোনালী স্কয়ারের বিভিন্ন দোকানদার ও ফ্ল্যাটের অগ্রিম হিসেবে ২১ কোটি ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লি: থেকে অগ্রিম ভাড়া হিসেবে ১৫ লাখ ৪০ হাজার এবং মেয়ে আয়মান বাহারের সাময়িক লোন ৪০ লাখ টাকাসহ মোট ২১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার।

৫ বছর আগে সোনালী স্কয়ারের বিভিন্ন দোকানদার ও ফ্ল্যাটের অগ্রিম হিসেবে দায়দেনা ছিল ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে এক রাতে ৫০০ ড্রোন হামলা

আপাতত এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত আইপিএল

কৃষকের ৬ বিঘা জমির ধান পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা

ভারতের চীনা পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ধার, কতটা ভয়ানক?

ভাঙা হলো মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা সেই সেতুটি

আপ বাংলাদেশে আহ্বায়ক কমিটিতে পদ পেলেন যারা

‘গণহত্যাকারীদের রাজনৈতিক অধিকার দিলে সমাজে হত্যাকে উৎসাহিত করা হবে’

সমাবেশে মোবাইল ফোন হারালেন নুর

পদ্মার এক ইলিশ সাড়ে ৮ হাজারে বিক্রি

ক্যাথলিক চার্চে নতুন পোপ লিও চতুর্দশ

১০

রাত ৮টার মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়

১১

সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরীর ‘বডিগার্ড’ গ্রেপ্তার

১২

পাকিস্তানকে পানি ও ভাতে মারবে ভারত

১৩

কুয়াকাটায় জমি নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

১৪

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

১৫

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত, ফেনী সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার

১৬

জুলাইয়ের নতুন সংগঠন ‘আপ বাংলাদেশ’-এর আত্মপ্রকাশ

১৭

রাজধানীর ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র

১৮

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

১৯

আ.লীগ নিষিদ্ধে কী আইন আছে, জানালেন আসিফ নজরুল

২০
X