বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও বিএনপির চারবারের সাবেক এমপি ডা. জিয়াউল হক মোল্লা এবং তার কর্মীদের বহনকারী গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ডা. জিয়াউল হক মোল্লাসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে কাহালু উপজেলার তিনদিঘি এলাকায় পিলকুঞ্জ এলাকায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই ঘটনায় থানায় মৌখিক অভিযোগ দেওয়া হলেও সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ডা. জিয়াউল হকের কর্মীদের অভিযোগ, বিএনপির সাবেক এমপি মোশাররফ হোসেনের কর্মী ও স্থানীয় একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
জানা যায়, বগুড়া-৪ আসনে বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ডা. জিয়াউল হক দীর্ঘদিন নিজ দলে উপেক্ষিত থাকার পর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন। তিনি গত ২৯ নভেম্বর তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তারপর থেকেই তিনি তার কর্মীদের নিয়ে গ্রামে গ্রামে গণসংযোগ শুরু করেন।
ডা. জিয়াউল হকের সঙ্গে থাকা মাসুদ রানা নামে একজন জানান, সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরের একটি মাইক্রোবাস নিয়ে তারা কাহালু উপজেলার কর্ণিপাড়ায় গণসংযোগ শুরু করেন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তারা তিনদিঘি এলাকায় পিলকুঞ্জ পৌঁছার পর স্থানীয় বিএনপির ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী এসএস পাইপ, লাঠি এবং রামদা নিয়ে তাদের মাইক্রোবাসের গতিরোধ করেন। এরপর তারা মাইক্রোবাসের জানালার কাঁচ ভেঙে সাবেক সংসদ সদস্যকে আঘাত করার চেষ্টা করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে তিনি এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা মহিউদ্দিন মোহন ও মাইক্রোবাসের চালকসহ অন্তত চারজন আহত হন। পরে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
অন্যদিকে ভাঙা কাঁচের টুকরায় ডা. জিয়াউল হকের চোখের নিচের অংশ কেটে যায়। চিকিৎসার জন্য তাকে কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি।’
ডা. জিয়াউল হক মোল্লা জানান, বিএনপি নেতা মোশারফের উচ্ছৃঙ্খল কিছু লোকজন পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এদিকে রাখাল মাসুদ ও সাবেক ছাত্রদল নেতা মোহন ফেসবুক লাইভে এসে হামলার বর্ণনা দেন। তারা ফেসবুক লাইভে হামলাকারী হিসেবে বেশ কয়েকজন বিএনপির নেতার নাম উল্লেখ করেছে।
এ ব্যাপারে সাবেক এমপি মোশারফ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
কাহালু থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, ওই ঘটনায় কেউ মামলা করেনি। তবে মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হামলাকারীদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তবে চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন