শীতের প্রকোপ বাড়ায় চাঁদপুরে লেপ-তোশকের দোকানগুলোতে কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিভিন্ন প্রকারের তুলা দিয়ে পছন্দশীল লেপ-তোশক তৈরিতেই তাদের খানিকটা ফুরফুরে মেজাজে সময় কাটছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের বেশ কয়েকটি লেপ-তোশকের দোকান ঘুরলে কারিগরদের ব্যস্ততা দেখা যায়।
ওয়াপদা গেটের কারিগর মাসুদ বলেন, পুরানো লেপ-তোশক মেরামতের পাশাপাশি নতুন বেশকিছু লেপ-তোশকের অর্ডার পেয়েছি। এখন তুলা পিটিয়ে তা রঙ-বেরঙের কাপড় দিয়ে লেপ-তোশকের কাভারে মুড়িয়ে সুই-সুতার ফোঁড় তুলতেই ব্যস্ত সময় পার করছি। এক একটি লেপ-তোশক তৈরি করে আমাদের সর্বোচ্চ ৩০০ থকে ৫০০ টাকা লাভ হয়। চাইলে এক দুই দিনেই অর্ডার অনুযায়ী লেপ-তোশক ডেলিভারি দিতে পারি। তবে চাহিদা সামাল দিতে আমরা আগে থেকেই লেপ-তোশক বানিয়ে মজুদ রাখি।
ছেংগারচর বাজারের লেপ-তোশকের কারিগর মো. শিমুল হোসেন বলেন, অনেকেই পুরোনো লেপ-তোশকের কভার পাল্টিয়ে নিচ্ছেন। কার্তিক মাসের এ সময় রাতে শীত বাড়ায় কাজের চাপ বেড়েছে। তবে তুলার মান ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে লেপ-তোশক তৈরির খরচ নির্ধারণ করে থাকি। এবার তুলা আমদানিতে খরচ বাড়ায় আমরাও লেপ-তোশক তৈরিতে খরচ কিছুটা বাড়িয়ে নিচ্ছি।
লেপ-তোশক কিনতে আসা সাংবাদিক শ্যামল সরকার বলেন, তুলার দাম আগের চেয়ে কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকা বেড়েছে। এরমধ্যে সাদা তুলা প্রতি কেজি ১শ' টাকা এবং রঙিন তুলা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর সাদা তুলা ৮০ টাকা এবং রঙিন তুলা ২৫ টাকা, শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৬শ' টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ৩শ' থেকে ৩৫০ টাকা দামে কিনতে পেরেছিলাম। তবুও প্রয়োজন মেটাতে দাম যাই হোক কিনতে এসেছি এবং কিনব এটাই মূল কথা।
লেপ-তোশক কিনতে আসা মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে তুলার বাজারদর অনুযায়ী ৫ থেকে ৬ হাত লম্বা একটি তোশকের খরচ পড়ে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা এবং ৫ থেকে ৬ হাত একটি লেপের খরচ পড়ে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত। এ বছর জিনিসপত্রের দাম অনেকটা বেশি থাকায় স্বাভাবিকভাবেই লেপ-তোশক তৈরিতে খরচ একহাজার টাকা থেকে শুরু করে দেড়হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
মন্তব্য করুন