

চাঁদপুরের বেলচোঁ কারিমাবাদ ফাজিল মাদ্রাসার আইসিটি প্রভাষক মেহেদী হাসান গেল তিন বছর ধরে প্রবাসে অবস্থান করছেন। মাঝেমধ্যে দেশে এলেও নিয়মিত ক্লাস না করে মাদ্রাসার হাজিরা খাতায় একসঙ্গে স্বাক্ষর দিয়ে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার দীর্ঘ অনুপস্থিতি ও ক্লাস না নেওয়ার কারণে আইসিটি বিষয়ে ব্যাপক শিক্ষাবিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
চলতি বছরে আলিম পর্যায়ে ৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮ জন আইসিটিতে ফেল করেছে। এতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলিম শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আলিম প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। এখানে আইসিটির ক্লাস নেন সিরোতাজ ম্যাডাম। ‘মেহেদী স্যার’ নামে কাউকে চিনি না। দুই-তিন মাস ধরে নিয়মিত ক্লাসে পাচ্ছি না। শুনেছি তিনি বিদেশে আছেন।
মাদ্রাসার সাবেক পরিচালনা কমিটির সদস্য দুলাল মিয়া বলেন, আমরা দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বারবার প্রিন্সিপালকে অনুরোধ করেছি তাকে অনুপস্থিত দেখাতে। আমরা জেনেছি, তিনি দেশের বাইরে থাকেন এবং ক্লাস করেন না। আইসিটি বিষয়ে খারাপ ফলাফলের এটিই প্রধান কারণ।
অভিযুক্ত প্রভাষক মেহেদী হাসানের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার শিবপুর গ্রামে। পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি ৩–৪ বছর ধরে নিয়মিত কুয়েতে যাতায়াত করছেন।
অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান জানান, মেহেদী হাসান গত ১৭ মে থেকে অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত। তিন দফা তদন্ত নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মে মাস পর্যন্ত বেতন নিয়েছেন। আগেও চার মাস অনুপস্থিত থাকায় বেতন বন্ধ করা হয়েছিল।
মাদ্রাসার সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এমরামুল ছিদ্দিকী বলেন, আমি দুই মাস আগে অভিযোগ পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ সত্য হলে অবৈতনিক বেতন ফেরত আদায়সহ প্রয়োজনীয় সব শাস্তি দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত প্রভাষকের ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন