কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ শহীদ মিনারে চলে শ্রদ্ধাঞ্জলি

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ধোপাকান্দি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ শহীদ মিনার। ছবি : কালবেলা
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ধোপাকান্দি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ শহীদ মিনার। ছবি : কালবেলা

প্রায় দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে চলেছে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ধোপাকান্দি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়টি উপজেলার সদর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসেও সকালে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ এই শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

জানা গেছে, উপজেলার একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় ৬৬ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী জামতৈল ধোপাকান্দি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয় ২০১৮ সালে। প্রতিষ্ঠান সরকারি হলেও প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারের সৌন্দর্য ফিরে আসেনি দীর্ঘদিনেও। নেই কোনো সৌন্দর্যমণ্ডিত শহীদ মিনার। প্রায় পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ শহীদ মিনারেই চলে দীর্ঘদিন ধরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা শহরেই অবস্থিত বিদ্যালয়টি। শহীদ মিনারের চারপাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ। মনে হয় অনেকেই সেই স্তূপে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেন। শহীদ মিনারের প্ল্যাটফর্মটি ভাঙা পেছনের ইট খসে পড়েছে আর মাঝখানে এবং দেয়ালে ভাঙন ধরেছে। স্তম্ভে ফাটল, শ্যাওলা স্যাঁতস্যাঁতে, পলেস্তারা খসে পড়েছে রং উঠে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক দিন সংস্কার করা হয়নি। শুধু দিবসগুলোয় ফুল দিয়ে কোনোমতে দায় সারছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থীর অনেকেই বলেন, আমাদের এত সুন্দর একটা প্রতিষ্ঠান যেটা এখন সরকারীকরণ করা হয়েছে অথচ বিদ্যালয়ের ভিতরে শহীদ মিনারের এত জরাজীর্ণ অবস্থা ভাবাই যায় না। আমরা অনেক দূরে চাকরি করি মাঝে মাঝে বিদ্যালয়ের কথা মনে হয়। এলাকায় আসলেই বিদ্যালয় দেখতে চলে আসি অথচ শহীদ মিনারের এই অবস্থা দেখলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। আশা করছি দ্রুতই উন্নতি হবে শহীদ মিনারটি।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবু ইয়াহিয়া বলেন, শহীদ মিনারটি গত এক বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন করে শহীদ মিনার তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেটা উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে আছে। আপাতত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন দিবস পালন করেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরে প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এখন কী অবস্থায় আছে বলতে পারছি না।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা প্রোগ্রামে ব্যস্ত থাকায় বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিজ হাসপাতালে পড়ে ছিল চিকিৎসকের গলাকাটা মরদেহ

হ্যারি পটার সিরিজে নতুন চমক

এলাকাবাসীর মাঝে হিজড়াদের মিষ্টি বিতরণ

বিশ্বকাপজয়ী মার্টিনেজ নয়, অখ্যাত এক বেলজিয়ানের ওপর ভরসা ম্যানইউর

জশনে জুলুসকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম নগরজুড়ে চলছে দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা

গুজবে কান না দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সেনাপ্রধানের আহ্বান 

ডাকসু-জাকসু-রাকসু-চাকসু হতেই হবে : সারজিস

টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের, দেখে নিন একাদশ

শ্রাবন্তীর বোল্ড লুক, নিজের মতো খুশি থাকার শিক্ষা

কেন ক্ষমা চাইব? আমি তো কোনো অন্যায় করিনি : বাকৃবি উপাচার্য

১০

একটা লোককে ভিপি বানাতে ডাকসু আয়োজন করা হচ্ছে, অভিযোগ মেঘমল্লার বসুর

১১

নদীতে গোসলে নেমে তলিয়ে গেল দুই শিশু

১২

হঠাৎ হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া কীসের ইঙ্গিত? যা বলছেন চিকিৎসক

১৩

তারেক রহমানকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে দেশের মানুষ : মেয়র শাহাদাত

১৪

৩৮ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

১৫

ছাত্রলীগের সাবেকরা কি রাষ্ট্রীয় কাজে অংশ নিতে পারেন না, আইনজীবীকে হাইকোর্টের প্রশ্ন

১৬

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র

১৭

চেম্বার জজ আদালতের রায়ের বিষয়ে শিশির মনিরের প্রতিক্রিয়া

১৮

ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

১৯

মেসি শেষ কবে ফাইনাল হেরেছিলেন?

২০
X