চাঁদপুর সদরের মৈশাদীর ছাদবাগানী মহিবউল্যার ছাদ বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে দেশি বিদেশি নানা জাতের সুমিষ্ট ফল। তার এমন সাড়া জাগানো ছাদ বাগানের সফলতা এলাকায় উদীয়মান ছাদবাগান সৃষ্টিতে উৎসাহ যোগাচ্ছে। তাই তো আশপাশের ভবন মালিক ও যুবকরা প্রায়ই এই ছাদবাগানের সফলতা সম্পর্কিত নানান অনুপ্রাণিত তথ্য পেতে তার ছাদে ভিড় জমাচ্ছেন।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে মহিবউল্যাকে তার ছাদবাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, শহরের বাবুরহাটের অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন মহিবউল্যা। তিনি সদর উপজেলার মৈশাদী বাজারে একতলা বিশিষ্ট মান্নান শপিং সেন্টারের ছাদে নিজ উদ্যোগে ছাদবাগান গড়ে তোলেন। মাত্র এক বছর আগে শুরু করা এই ছাদ বাগানে দেশি বিদেশি জাতের ৯ প্রজাতির আম, মাল্টা, কমলা, বেদানা, ড্রাগন, টমেটো, আমড়া, বড়ইসহ অনেক প্রকারের ফলের গাছ রয়েছে। যেগুলোতে মৌসুম ভেদে ফল দেখতে উৎসুক ছাদবাগানীরা ভিড় জমায়।
এ বিষয়ে ছাদবাগানী মহিবউল্যা বলেন, পারিবারিক পুষ্টিচাহিদা মেটাতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরছ করে সৌখিন ছাদবাগানী হিসেবে নিজে বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চারা সংগ্রহ শুরু করি। বর্তমানে অধিকাংশ গাছে ফল আসলেও বাকী গাছগুলোতে মৌসুম অনুযায়ী ফল আসবে। তবে আমাকে সবসময় কৃষি বিভাগ হতে পরামর্শ সেবা দেওয়ার তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন রায় বলেন, ছাদবাগানী ভাই অনেক কঠোর শ্রম ও মেধা দিয়ে তীলে তীলে তার ছাদবাগানকে নানা প্রজাতির ফল চাষ করে পরিপূর্ণতা দিয়েছেন। তাকে আমরা শুরু থেকেই নানা সহযোগিতা ও বিভিন্ন পরামর্শ সেবা দিয়ে আসছি। এখন তার বাগানে দেশি বিদেশি নানা জাতের ফলের গাছ ও ফল শোভা পাচ্ছে। আমাদের এ সহযোগিতা সবার জন্যই অব্যাহত থাকবে।
তপন রায় আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সদর উপজেলার প্রতিটি বাড়ির ছাদের মালিকদের ছাদবাগানী হতে উৎসাহ দিচ্ছি। শুধু বাড়ির ছাদে নয় বরং কৃষকরা যাতে বাণিজিকভাবে ফল চাষে এগিয়ে আসেন। সেজন্যও সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমি মনে করি ছাদবাগানী মহিবউল্যা নামটি নতুন নতুন আগ্রহী ছাগবাগানীদের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন