বরিশালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ও জনসভাকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। জনসভা সফল করার লক্ষ্যে দফায় দফায় সভা আর গণসংযোগ করছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভা সফল করার লক্ষ্যে ছয় সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে বরিশাল নগরী সেজেছে নবরূপে।
পাঁচ বছর পর শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বরিশাল যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন বিকেল ৩টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন তিনি। সভাস্থলকে জনসমুদ্রে পরিণত করার লক্ষ্যে এরইমধ্যে নগরের বান্দরোডস্থ বঙ্গবন্ধু উদ্যানকে সাজানো গোছানোর কাজ প্রায় শেষ। চলছে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মাইকিং। নগরের প্রতিটি পয়েন্টকে সাজানো হয়েছে। করা হয়েছে রাস্তা মেরামত। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জনসভায় ব্যাপক লোক সমাগম ঘটাতে গত ২৩ ডিসেম্বর বিশেষ বর্ধিত সভা করেছে বরিশাল বিভাগীয় আওয়ামী লীগ। সেখানে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন কমিটি গঠন করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহকে প্রধান সমন্বয়ক করা হয়। তার ছোট ভাই বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতকে সমন্বয়ক এবং সদস্য করা হয় শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নগরজুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, টহল পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠে রয়েছে। নগরে বৃদ্ধি করা হয়েছে পুলিশের টহল। সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। জনসভা মঞ্চ ও আশপাশের এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন, গত ১৫ বছরে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে অনেক কিছু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ ২৯ ডিসেম্বর অনেক মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে আসবেন। তার বক্তব্য শুনতে আসবেন। সভাকে সফল করার জন্য বিভাগের মধ্য থেকে ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটানোর চেষ্টা চলছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সর্বোচ্চ এবং সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আমাদের লোকজন বিভিন্ন ধরনের কাজ করছেন এবং অনেক কাজ এরইমধ্যে সম্পাদনও করেছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে মহানগর আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সর্ববৃহৎ জনসভা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আসবেন এই খবরেই আমাদের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। এখন আমরা তার আসর অপেক্ষায় রয়েছি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নগরজুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, টহল পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠে রয়েছে। নগরে বৃদ্ধি করা হয়েছে পুলিশের টহল। সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। জনসভা মঞ্চ ও আশপাশের এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
মন্তব্য করুন