কিশোরগঞ্জ কিশোরই থেকে গেল, তবে খুব গুরুত্বপূর্ণ জেলা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে ৬টি জেলায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় যুক্ত হন তিনি। কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন হয় সেই সরকারের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপরাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ। এই যে সরকার গঠন হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যেহেতু পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়, সে সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেব কিন্তু অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। আমাদের বিজয় এনে দেন। এই কিশোরগঞ্জে জিল্লুর রহমান রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং আব্দুল হামিদ সাহেবও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তাই দেখলাম, কিশোরগঞ্জ কিশোর হলেও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদগুলো সব সময় কিশোরগঞ্জের তারাই পালন করে।
তিনি বলেন, আজ আমি যুক্ত হয়েছি নৌকার প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে এবং নৌকা মার্কার জন্য ভোট চাইতে। কিশোরগঞ্জ সবসময় আওয়ামী লীগ এবং নৌকা মার্কায় ভোট দেয়। এবারও কিশোরগঞ্জের মানুষ আমাদের ভোট দেবে। পরে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত পাঁচজন প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন। তবে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী পরিচয় করিয়ে দিতে এসে তিনি বলেন, এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে দিয়ে দিতে হয়েছে। বারবার দিতে হচ্ছে। তবে এবারই শেষ, ভবিষ্যতে আর কাউকে দেব না।
এ সময় কিশোরগঞ্জের প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, কিশোরগঞ্জের-২ (পাকুন্দিয়া- কটিয়াদী) আবদুল কাহার আকন্দ ও কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) মো. আফজাল হোসেন।
এ ছাড়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়া, পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাজিতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রকিবুল হাসান শিবলী, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বকুল, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিস বেগম, কিশোরগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শরীফুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন বাচ্চু, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন।
মন্তব্য করুন