দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ায় দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন ডোমার উপজেলা বিএনপির নেতা মোমিনুর রহমান। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ডোমার উপজেলা শাখার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং একই উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রে মোমিনুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মোমিনুর রহমানকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ৩০ ডিসেম্বর ডোমার উপজেলার বামুনিয়া ইনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও পথসভা করেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার। তার এসব গণসংযোগ ও পথসভায় যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগে সরকারের গুণগান গেয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও বামুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোমিনুর রহমান। তার এমন ভোট চাওয়ার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা তার বহিষ্কার দাবি করেন।
এ বিষয়ে ডোমার উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ বিন আমিন সুমন বলেন, আমরা দলীয়ভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলনে রয়েছি। কিন্তু উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মোমিনুর রহমান গত ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অফতাব উদ্দিন সরকারের পক্ষে বামুনিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়ে নৌকায় ভোট চান। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর সেটি কেন্দ্রে অবহিত করা হলে ১ জানুয়ারি সোমবার তাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ডোমার উপজেলা শাখার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং একই উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন