দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের আলোচিত কয়েকটি আসনের মতো কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনটি নানা কারণে আলোচনায় রয়েছে। এ আসনে দখলবাজি, চাঁদাবাজি, অবৈধ দখল এবং দলের ভেতরে নিজের বিপক্ষের লোকজনকে মামলা দিয়ে কোণঠাসা অবস্থায় আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম। এ আসনে তার শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে নির্বাচন করছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ও দলের প্রার্থী মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
তিনি নিজ জন্মস্থান চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে নির্বাচন না করে চকরিয়া-পেকুয়া থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় এসেছেন। বিভিন্ন সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠন তাকে সমর্থন দেওয়ায় ভালো অবস্থানে রয়েছেন। একইসঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সমর্থনও পাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন ইবরাহিম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নানা বিষয় নিয়ে দৈনিক কালবেলার সঙ্গে কথা বলেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। সাক্ষাৎকারটি নেন কালবেলার কক্সবাজার প্রতিনিধি ওয়াহিদুর রহমান রুবেল।
কালবেলা : নির্বাচন কেমন দেখছেন?
ইবরাহিম : নির্বাচনকে আমি এই মুহূর্ত পর্যন্ত গঠনমূলক চিন্তায় দেখছি। গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে দেখছি এবং আশাবাদী চিন্তায় দেখছি।
কালবেলা : যে ধরনের পরিবেশের অঙ্গীকার পেয়ে ভোটে এসেছিলেন, সেটি পূরণ হয়েছে কি?
ইবরাহিম : আমার আসনে সেটি পূরণ হয়েছে অনেকটুকুই। তার জন্য আমি নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কালবেলা : ভোটে আপনার দল কেমন করবে বলে আপনি আশাবাদী?
ইবরাহিম : বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১৩টি আসনে এখন পর্যন্ত লড়াই করছে। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি আশাবাদী আমরা যে আসনটি সেটি কক্সবাজার-১। অন্যগুলোতে কী হবে তা এ মুহূর্তে বলতে পারছি না।
কালবেলা : জয়ের ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী?
ইবরাহিম : আমার আসনে ইনশাআল্লাহ আমি জয়ী হবো। আমরা এ ব্যপারে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।
কালবেলা : বিএনপির ভোট কেমন পাবেন?
ইবরাহিম : বিএনপি এবং জামায়াতের আংশিক ভোট পাব বলে আশাবাদী। একটা অংশ যারা চকরিয়া-পেকুয়ায় অত্যচারিত, নির্যাতিত হয়েছে, যারা গত পাঁচ বছর অপশাসন দেখেছে তারা পরিবর্তনের জন্য ভোটটা দেবে।
কালবেলা : নির্বাচনের ফল মেনে নেবেন কি?
ইবরাহিম : নির্বাচনের পর ফলাফল যাই আসবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমি মেনে নেব। তবে যদি কোনো অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের কারণে ফলাফল প্রভাবিত হয় আমার প্রতিকূলে। তারজন্য আমি প্রতিবাদ করব। তখন আমি বিবেচনা করব কী সিদ্ধান্ত নেব।
কালবেলা : নির্বাচনের পর আপনাদের ভূমিকা কী হবে?
ইবরাহিম : নির্বাচনের পর আমার ও আমার দলের ভূমিকা হবে গঠনমূলক রাজনীতি করা, গঠনমূলক সমালোচনা করা এবং জনগণের পক্ষে কথা বলা।
মন্তব্য করুন