চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আমি দিতে এসেছি, নিতে না : দিলীপ আগরওয়ালা

চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী সভায় দিলীপ আগরওয়ালা। ছবি : কালবেলা
চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী সভায় দিলীপ আগরওয়ালা। ছবি : কালবেলা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ আগরওয়ালার সমর্থনে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ এ জনসভায় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরের পর থেকে জনসভাস্থলে হাজার হাজার লোকের উপচেপড়া ভিড় ছিল। ঈগল প্রতীকের স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে চারপাশ। সবার হাতে দেখা যায় ঈগল প্রতীকের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন। সমাবেশে জেলা, ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জনসভায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, জনগণকে আমি দিতে এসেছি, নিতে আসিনি। রাস্তাঘাট তৈরি, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওয়াদা করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদেরই সন্তান। কারও ভাই, কারও বন্ধু, কারও দাদা। আমার জন্ম চুয়াডাঙ্গাতে। এখানেই আমার নাড়ি পোঁতা আছে। এই শহরের ওলি গলি আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। চুয়াডাঙ্গার মাটিতে আমি বড় হয়েছি। এই মাটির কাছে আমি চির ঋণী। সেই ছোটবেলা থেকে এ মাটির ঋণ পরিশোধ করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা কাজ করছে আমার ভিতর। আপনারা জানেন, আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমি হয়তো অল্প কিছু মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। কিন্তু সামগ্রিক চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গার উন্নয়নের জন্য কাজ করতে পারছি না। আমি হাসপাতালে ১০টি হুইল চেয়ার দিতে পারি। ২/৩ টি ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স দিতে পারি। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা বা চিকিৎসার পরিবেশ ভালো করার ক্ষমতা ব্যক্তিগতভাবে আমার নেই। আমি স্কুল কলেজে বই দিতে পারি। ক্রীড়াসামগ্রী দিতে পারি। কিন্তু শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে কোনো ভুমিকা রাখতে পারি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না।

ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যদি আমাকে ঈগল পাখি মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন কথা দিলাম, স্কুল কলেজে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো শিক্ষককে এক টাকাও দিতে হবে না। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে চুয়াডাঙ্গায় একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করব। ইচ্ছে আছে, ৫০০ শয্যার একটি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন করার।

দিলীপ আগরওয়ালা আরও বলেন, এলাকার গরিব অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য আমি শীতকালে কম্বল দিতে পারি, বর্ষায় ছাতা দিতে পারি, দুস্থদের খাবার দিতে পারি। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব, আমি করে যাচ্ছি। কিন্তু এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বড় ধরনের অবদান রাখতে পারি না। এলাকার রাস্তা ঘাটের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারি না। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সকল ভাতার সুষ্ঠু বণ্টনে ব্যবস্থা নিতে পারি না। তাই, আমি সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গাবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন করার লক্ষে মহান জাতীয় সংসদে যেতে চাই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বউ-শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, আটক ১

খোলা তালাকের পর অন্যত্র বিয়ে ছাড়া কি পূর্বের স্বামীকে বিয়ে করা জায়েজ?

ভূমিকম্প নিয়ে জাপানের কাছ থেকে যা শিখতে পারে বাংলাদেশ

এবি পার্টির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি : জরিপ

‘নতুন শাড়িতে পুরোনো বউ’ দিয়ে আর ধোঁকা দেওয়া যাবে না : চরমোনাই পীর

সিয়ামের নতুন নায়িকা

৮৪ নম্বর সেঞ্চুরির দিনে কোহলির বিরল রেকর্ড

বিসিএসআইআর-বিইউএফটি’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ভুলেও খাবেন না এই ৩ পানীয়, নষ্ট হতে পারে আপনার স্মৃতিশক্তি

সাভারে টিভি সাংবাদিকদের সংগঠন ‘টিআরসি’র আত্মপ্রকাশ

১০

শাহ আমানত বিমানবন্দরে মাঝারি স্কেলের অগ্নি নির্বাপন মহড়া

১১

কাদাজলে লন্ডভন্ড ইন্দোনেশিয়ার জনজীবন

১২

শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে, পরীক্ষা নিলেন শিক্ষা অফিসার

১৩

বৈদ্যুতিক শক দিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, কলগার্লসহ আটক ৩

১৪

জামায়াতের ঔষধ হলো আওয়ামী লীগ, বললেন মির্জা আব্বাস

১৫

ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

১৬

জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগই আমাদের চালিকাশক্তি : উপদেষ্টা আদিলুর রহমান

১৭

এবার শাকিবের বিপরীতে নাসির উদ্দিন খান

১৮

‘অবৈধ কামাইয়ে ব্যস্ত’ দুই ছাত্র উপদেষ্টা : ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

১৯

রাতের আঁধারে উধাও জার্মান সেনাবাহিনীর বিপুল গোলাবারুদ

২০
X