সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দৈনিক কালবেলাসহ বিভিন্ন পত্রিকার এজেন্ট দৌলত মন্ডল ও তার ছেলেকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া তাদের এলাকা ছাড়ার হুমকিও দেওয়া হয়। এ অভিযোগে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বেলকুচি থানায় দৌলত মন্ডলের ছেলে মমিন মন্ডল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এর আগে সকালে দৌলত মামলা করতে গেলে তা জিডি হিসেবে নথিভুক্ত করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বাদীর বর্ণনায় জানা যায়, দৌলত মন্ডলের বড় ছেলে ব্যবসায়ী মোমিন মন্ডল এবং ছোট ছেলে নাবিন মন্ডল সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সমর্থক ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডল এমপি বিজয়ী হওয়ার পর দিন সোমবার (৮ জানুয়ারি) নাবিন মন্ডলকে প্রাণনাশের হুমকি দেন ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ ও তার সহযোগীরা। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বেলকুচি আদালত পাড়ায় পত্রিকা বিক্রির সময় দৌলত মন্ডলকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকিও দেন তিনি।
এর কিছুক্ষণ পর চালার কুদ্দুর কোয়ার্টারে ভাড়া বাড়িতে গিয়ে দৌলত মন্ডল ও বড় ছেলে মোমিন মন্ডলকে পরিবার ও প্রতিবেশীর সামনেই মারধর করেন তারা।
বেলকুচি পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা বলেন, ‘নির্বাচনের পরই দৌলত মন্ডল ও তার ছেলে মোমিন, নাবিনসহ ঈগল সমর্থকদের ওপর অত্যাচার চলছে।’
বেলকুচি থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, ‘বাদীর লিখিত এজাহার অনুযায়ী মামলা হয়েছে। এর আগে তার বাবার জিডিও এন্ট্রি করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।’
পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, ‘দৌলত মন্ডল ও তার ছেলে মোমিন মন্ডলকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়ে থানার পাশাপাশি বেলকুচির সার্কেল এএসপি ও ডিবি পুলিশকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
এমপি মমিন মন্ডলের সমর্থক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী বলেন, ‘দৌলত মন্ডলের ছেলে মোমিন মন্ডল ও নাবিন মন্ডল ভোটের দিন আমার ছেলেকে মারধর করেছে। এ জন্য দৌলত মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে পুলিশের সামনেই ছেলেদের নিয়ে এলাকা থেকে অন্যত্র চলে যেতে বলেছি।’
মন্তব্য করুন