ঝিনাইদহ শহরের হামদহ ঘোষপাড়ায় সন্ত্রাসীদের হাতে বরুণ ঘোষ হত্যার ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৯/১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে নিহতের স্ত্রী টুম্পা রানী ঘোষ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহিন উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে ঘটনার রাতে র্্যাব একজন এজাহারভুক্ত আসামিসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
গ্রেপ্তাররা হলো- ঝিনাইদহ শহরের হামদহ ঘোষপাড়া এলাকার কার্তিক ঘোষ ও তার ছেলে কল্লোল ঘোষ, কামাড়কুণ্ডু এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে সবুজ হোসেন, ইসলামপাড়ার ডাবলু মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া, হামদহ এলাকার তফসের হোসেনের ছেলে আইয়ুব আলী, ব্যাপারীপাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে মুন্না ও রমজান আলীর ছেলে হাতকাটা তরুণ। এর মধ্যে প্রথম ৪ জন এজাহারভুক্ত ও বাকিরা সন্ধেহভাজন।
নিহতের বড় ভাই অরুণ কুমার ঘোষ জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের এলাকার কার্তিক ঘোষ, কল্লোল ও তন্ময় ঘোষদের সাথে তাদের বিবাদ চলে আসছিল। তিনি বলেন, কাউকে হয়রানি না করে তদন্তপূর্বক প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক এটাই পরিবারের দাবি।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঝিনাইদহ পৌর এলাকার হামদহ ঘোষ পাড়ার বাইপাস সড়কের পাশে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা বরুণ ঘোষকে (৪৫) কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার পর বুধবার হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও পুজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকা থেকে ঝিনাইদহে আসেন। তারা নিহতের পরিবারের পাশে দাড়ানোর সকল প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন এবং হত্যাকারীদের চিন্হিত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মন্তব্য করুন