নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় এক নারীর গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী কাউছার মাহমুদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সংশ্লিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তিন পরিচালক ডা. বোরহানউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, সিদ্ধিরগঞ্জের পূর্ব কলাবাগ চেয়ারম্যান বাড়ির কাউছার মাহমুদের স্ত্রী মাকসুদা আক্তার অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাই তাকে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় অবস্থিত এম এস টাওয়ারে এস আলম ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত গাইনি চিকিৎসক শারমিনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। ডা. শারমিন ওই প্রতিষ্ঠানে মাকসুদা আক্তারকে বিভিন্ন সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।
একপর্যায়ে মাকসুদার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে বুধবার (১০ জানুয়ারি) তার স্বামী তাকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর আল হেরা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ওই দিন বিকেলে মৃত সন্তান প্রসব করেন মাকসুদা আক্তার।
মৃত সন্তান প্রসবের কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, এস আলম ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক রোগীকে ভুল চিকিৎসা দিয়েছেন। সে কারণে সন্তান কয়েক দিন আগেই মায়ের গর্ভে মারা গেছে।
কাওছার মাহমুদ বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সন্তান প্রসবের নির্ধারিত সময় পার হলেও রিপোর্ট ভুলের কারণে গর্ভেই সন্তানের মৃত্যু হয়। স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেছিলেন, পেটে পানি জমে গেছে তাই বাচ্চা বড় দেখাচ্ছে। তার কথায় আস্থা রাখতে না পেরে স্ত্রীকে আল হেরা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর চিকিৎসক জানান, সন্তান আগেই গর্ভে মারা গেছে।’
এস আলম ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে ভুল চিকিৎসায় গর্ভের সন্তান মারা যায়নি। এ বিষয়ে আমাদের হয়রানি করছে একটি মহল।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন