টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নৌ-ঘাটে নোঙর করে রাখা জেটি মাদকসেবী ও জুয়াড়িদের নিরাপদ আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা হলে এখানে শুরু হয় মাদকসেবীদের আড্ডা। অবাধে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে চললেও তা বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় মাস আগে আরিচা ঘাট থেকে নিয়ে আসা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহনের একটি জেটি উপজেলা গোবিন্দাসী নৌ-ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে। এটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয় কিছু মাদকসেবীরা সংঘবদ্ধ হয়ে অবাধে এ জেটির যাত্রী ছাউনিতে মাদকসেবন ও জুয়ার আসর বসিয়ে আসছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জোয়াদ আলী জানান, দিনের বেলায় জেটির ভেতরে উঠতি বয়সী শিক্ষার্থীরা বেশিভাগ সময়ে এখানে ধূমপান ও মাদকের আসর জমায়। এছাড়া সন্ধ্যার পর চলে জুয়ার আসর। এদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পান না। প্রতিবাদ করলেই তেড়ে আসে তারা। কে বা কারা এটি এনেছে এখনো বিষয়টির ব্যাপারে জানা নেই।
গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গোবিন্দাসী নৌ-ঘাট সরকারিভাবে ইজারা হচ্ছিল না। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) থেকে এটি কে বা কারা এনেছে জানা নেই। তবে মাদকের বিষয়টি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থাপন করা হবে।
এদিকে জেটির বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) থেকে এটি হয়তো রাখা হয়েছে। এটার ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই। তবে, মাদকের বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে অবগত হলাম। দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুর রহমান বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে অবগত না। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৯৯৮ সালে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধনের আগে উপজেলার গোবিন্দাসী নৌ-ঘাট ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মতিন মিয়ার নৌ-ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা ও উত্তবঙ্গের শত শত যানবাহন ও হাজার হাজার মানুষসহ বিভিন্ন মালামাল লঞ্চ ও ফেরিযোগে পারাপার হতো।
মন্তব্য করুন