রীতা রানী কানু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪০ এএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

আগাম আলু চাষে ৪ গুণ লাভ, চাষিদের হতে হয় কৌশলী

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আলু তোলায় ব্যস্ত দিনমজুর। ছবি : কালবেলা
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আলু তোলায় ব্যস্ত দিনমজুর। ছবি : কালবেলা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আগাম আলু চাষে আশানুরূপ লাভ হওয়ায় খুশি চাষি। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে অন্তত চারগুণ লাভ হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তারা। পাইকাররা চাষিদের ক্ষেত থেকেই আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে চাষিরা বিপণন নিয়েও দুশ্চিন্তামুক্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগাম আলু চাষে চাষিদের কৌশলী হতে হয়। আলু তোলার সঙ্গে সঙ্গে ওই জমিতে যেন অন্য শীতকালীন ফসলও বেড়ে উঠে, সেদিকে মনোযোগী হতে হয়।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পৌর এলাকাসহ সাতটি ইউনিয়নে ১ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ২৫ থেকে ৩০ টন আলু। এর মধ্যে ২২০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করা হয়েছে।

উপজেলার পলিশিবনগর গ্রামের আলু চাষি হামিদুল ইসলাম বলেন, দেড় বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন তিনি। মাত্র ৫৬ দিন পরেই ক্ষেত থেকে নতুন আলু তুলতে শুরু করেছেন। আলুর ফলন ও দাম দুটোই আশানুরূপ পেয়েছেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় আলুক্ষেতে তেমন রোগবালাই না ধরায় কীটনাশক স্প্রে করতে হয়নি। দেড় বিঘা জমিতে আলু চাষে তার খচর হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার টাকা।

তিনি আরও জানান, জমি থেকেই পাইকাররা প্রতি কেজি ৪৪ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে গেছেন। তার জমির উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে অন্তত দেড় লাখেরও বেশি টাকা লাভ হবে হবে আশা করছেন।

উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আলু চাষি যোতিশ চন্দ্র রায় বলেন, প্রায় চার বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আলু চাষ করেছেন। দুয়েক দিনের মধ্যে তার জমির আলু তোলা শেষ হবে। তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় আলুর উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম হয়েছে। বর্তমানে আলুর বাজার দর ভালো থাকায় আশানুরূপ লাভ হবে বলে তিনি আশা করছেন।

উপজেলার আলুর পাইকারি ক্রেতা কালুকান্ত দত্ত বলেন, বাজারে আগাম জাতের আলু উঠায় এসব আলু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ বছর আলুসহ সব ধরনের সবজির দাম বেশি হওয়ায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, চাষিরা আগাম জাতের আলু ক্ষেত থেকে ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে উত্তোলনের পর ওই জমিতে পুনরায় ভুট্টা বা বোরো ধান চাষ করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, উপজেলায় আগাম জাতের আলু ২২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি হেক্টর জমিতে ১৫ টন। এ বছর বাজারে নতুন আলুর আশানুরূপ দাম পাওয়ায় আলু চাষিরা লাভবান হয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আ.লীগ নেতা ছাইফ গ্রেপ্তার

জাতিসংঘ ফেলোশিপে ১০ নারীর মধ্যে স্থান পেলেন বাকৃবির মারজানা

জিয়া পরিবারকে সবচেয়ে নির্যাতন করেছে আওয়ামী সরকার : কবির ভূইয়া

মাদ্রাসা ও এতিমখানার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন আমিনুল হক

এবার এক ভিসায় যাওয়া যাবে আরবের ৬ দেশে

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার নিয়ে মির্জা গালিবের পোস্ট

মায়ামিতে হতে যাচ্ছে লা লিগার ম্যাচ!

বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গেলে দেশে চাঁদাবাজি বাড়বে : চরমোনাই পীর

আওয়ামী সংশ্লিষ্টতা বিতর্কে বিসিবি থেকে বাদ ইসফাক আহসান

সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় তিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

১০

বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়ে যা বললেন আমিনুল

১১

১৩ বছরের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চায় গাজীপুরবাসী

১২

সুন্দরবনে ভেসে গিয়ে বেঁচে ফিরলেন কুয়াকাটার পাঁচ জেলে

১৩

শিশু হত্যার দায়ে একজনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

১৪

সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন

১৫

যুক্তরাজ্যের বিশেষ দূতের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধিদলের বৈঠক

১৬

পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটির দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন

১৭

বৃষ্টি ও ভ্যাপসা গরম নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

১৮

গুগলে দ্রুত প্রয়োজনীয় তথ্য জানার ৭ কৌশল

১৯

পুনরায় বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হলেন মনজুর আলম

২০
X