কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসের সহকারী পোস্ট মাস্টারসহ ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে ১২ লাখ ২৫ হাজার ৪৯২ টাকা সরকারি কোষাকারে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গ্রাহকের জমানো টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় এ রায় ঘোষণা করা হয়।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রংপুরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. হায়দার আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামিরা হলেন- সহকারী পোস্ট মাস্টার মো. আবুল কালাম আজাদ, লেজার অপারেটর মো. হাবিবুর রহমান, একই পদের মো. আব্দুল মালেক ও অশোক কুমার নাথ, কাউন্টার অপারেটর মো. মতিউল ইসলাম, একই পদের মো. মওদুদ হাসান।
রায় ঘোষণার সময় ৬ আসামির মধ্যে ৪ জন উপস্থিত ছিলেন। আসামি মো. মওদুদ হাসান ও অশোক কুমার নাথ পলাতক আছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
স্পেশাল জজ আদালতের সরকারি কৌশলী একেএম হারুনর রশীদ জানান, ২০০২ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসের কর্মরত থাকাকালীন আসামিরা জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের জমানো সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসের পরিদর্শক এসএম শাহাদাত সুলতান বাদী হয়ে ২০০৫ সালের ৯ মে পোস্ট অফিসের ৬ জনকে আসামি করে দুদকে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্ত করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাকারিয়া। তদন্তে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মো. জাকারিয়া ৬ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন।
মন্তব্য করুন