বগুড়া ধুনটে হাড়কাঁপানো তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। কয়েকদিন ধরে সূর্য ও মেঘের লুকোচুরি খেলায় দেখা মেলেনি সূর্য।
হাড়কাঁপানো তীব্র শীতে বিপদে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধে আশ্রিত অসহায় মানুষ। তীব্র শীতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত ছোট বাচ্চাদের অসুস্থতা।
ধুনট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাড়কাঁপানো তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নানা শ্রেণির মানুষ। বেলা বাড়লেও ঘর থেকে কাজের সন্ধানে বের হতে পারছে না খেটে খাওয়া মানুষ। পেটের তাগিদে কাজে গেলেও কিছু সময় কাজ করার পরে ঠান্ডায় অবস হয়ে আসে শরীর।
উপজেলার ভাণ্ডার বাড়ী ইউনিয়ন যমুনা নদীর বাধে আশ্রিত বাহাদুর বলেন, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে আমি কাজে যেতে না পারায় অভাবে পড়েছি। একদিকে কিস্তি পরিশোধ নিয়ে চিন্তা, অন্যদিকে চার সদস্যের খাবার যোগান দিতে খুবই বিপদে পড়েছি। ছোট বাচ্চার ঠান্ডা লেগেছে, ডাক্তারের কাছে যাব টাকা নেই। একদিন কাজে যেতে না পারলে চুলাতে হাঁড়ি বসানো হয় না।
শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়াতেও ক্ষেতে ফসল ও বীজতলা নষ্ট হচ্ছে বলে জানা যায়। কৈয়াগাড়ি গ্রামে কৃষক শুকুর আলী জানান, মরিচ, আলু, পেঁয়াজে পঁচামিনা নামক রোগ দেখা দিয়েছে ও হলুদ রঙ হয়ে নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা।
ভাণ্ডার বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু বলেন, সরকারি বরাদ্দ যে কম্বল দিয়েছিল তা চাহিদার তুলনায় কম।
মন্তব্য করুন