চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বাম্পার ফলনের আশায় চাঁদপুরের আলুচাষিরা

আলুর ক্ষেত পরিচর্যা করছেন চাষিরা। ছবি : কালবেলা
আলুর ক্ষেত পরিচর্যা করছেন চাষিরা। ছবি : কালবেলা

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর চাঁদপুর জেলায় আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা শুধু রবি মৌসুমেই ১ লাখ ৮০ হাজার টন আলু উৎপাদন হয়েছে। এবার ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ হচ্ছে বলে খবর জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) কৃষি বিভাগ থেকে দেশে আলু উৎপাদনে চাঁদপুর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকার খবর পাওয়া যায়।

তথ্য মতে, চাঁদপুর সদরে এবার আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৬০০ হেক্টর এবং উৎপাদন ৩৮ হাজার ৪০০ টন। মতলব উত্তরে ৬৬৫ হেক্টর এবং উৎপাদন ১৮ হাজার ৩৬০ টন। মতলব দক্ষিণে আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ১৫০ হেক্টর এবং উৎপাদন ৫১ হাজার ৬০০ টন। হাজীগঞ্জে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৮৫ হেক্টর এবং উৎপাদন ১৪ হাজার ১০০ মেট্রিক টন। শাহরাস্তিতে চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ৭০ হেক্টর এবং উৎপাদন ১ হাজার ৬৮০ টন। কচুয়ায় চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৫০ হেক্টর এবং উৎপাদন ৪৯ হাজার ২০০ টন। ফরিদগঞ্জে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১২০ হেক্টর এবং উৎপাদন ২ হাজার ৮৮০ টন এবং হাইমচরে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৬০ হেক্টর এবং উৎপাদন ৩ হাজার ৮৪০ টন।

জেলার কৃষি বিপণন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবারের মতো এবারো চাঁদপুরে ১২টি হিমাগারে ৭০ হাজার টন আলু সংরক্ষণ করার ধারণক্ষমতা রয়েছে। বাকি আলু হিমাগারের বাইরে থাকে। এর মধ্যে কিছু পরিমাণ আলু উৎপাদনের পর পরই বিক্রি হয় এবং বাকি আলু কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃত্রিমভাবে মাচায় সংরক্ষণ করে রাখে।

এদিকে চলতি করোনা মহামারিতে ত্রাণ হিসেবে সর্বমহলে চালের পাশাপাশি আলু রাখায় কৃষকরা আলুর ভালো দাম পাচ্ছে। বর্তমানে প্রতি কেজি আলুর খুরচা মূল্য ৪০-৪৫ টাকা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী বলেন, বর্তমানে কৃষকরা লাঙলের পরিবর্তে ট্রাক্টর ও হোচার পরিবর্তে বিদ্যুতচালিত স্যালো সেচ ব্যবস্থায় কাজ করছেন। এমনকি গোবরের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকার উন্নত রাসায়নিক সার ব্যবহার, উন্নত বীজ, পরিমিত কীটনাশকের ব্যবহার, নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হয়েছেন। তার ওপর আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চাঁদপুর জেলা একটি নদীবিধৌত কৃষিভিক্তিক অঞ্চল বিধায় কৃষকরা সময়মত চাষাবাদ, বীজবপন ও সঠিক পরিচর্যায় পারদর্শী। জেলার ব্যাংকগুলো যথারীতি ফসল ঋণ দিয়ে কৃষিপণ্য উৎপাদনে ব্যাপক সহায়তা দিচ্ছে। আমরাও কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে পাশে রয়েছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আলোচিত বেগমপাড়ায় কার কয়টি বাড়ি-ফ্ল্যাট

মালিক বাড়িতে নেই, গরু বিক্রি করে লাপাত্তা কর্মচারী

শয়তানের নিশ্বাস ছড়িয়ে গৃহবধূর সর্বস্ব লুট

যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্প / দরকষাকষি চলছে, আরও সময় লাগবে

সকালে ঘুম থেকেই উঠেই কি মোবাইল ফোন ঘাঁটেন, হতে পারে যেসব বিপদ

সাগরে মিলল ১২ কোটি টাকার গুপ্তধন

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

বিশ্ব শিশু দিবস আজ 

এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেবে : সারজিস 

ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

১০

গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইউরোপজুড়ে লাখো মানুষের বিক্ষোভ

১১

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১২

ঘুম থেকে ওঠার পরই কি সারা শরীরে ব্যথা হয়, ভয়াবহ রোগের লক্ষণ নয় তো?

১৩

আকিজ গ্রুপে চাকরি, পাবেন গ্র্যাচুইটিও

১৪

ট্রাফিক জরিমানার নামে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে প্রতারণা, ডিএমপির সতর্কতা

১৫

আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটালেন নদীপাড়ের মানুষ

১৬

টিভিতে আজকের যত যত খেলা

১৭

সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৮

তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, ডিমলার বন্যা রক্ষা বাঁধ ঝুঁকিতে

১৯

৬ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

২০
X