কুষ্টিয়ার দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম খাজানগরে অভিযান চালিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও তার টিমের সদস্যরা।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর থেকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান শেষে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চালকল মালিক, চাল ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ সময় দুর্নীতি ঠেকাতে নতুন কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলগেট থেকে যখন চাল সরবরাহ করা হবে, তখন বস্তার গায়ে সরবরাহের তারিখ ও মূল্য তালিকা লেখা থাকবে। এই নির্দেশনা এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, খাজানগরে যে সমস্যা আমরা চিহ্নিত করেছি তা হলো- একটা মিলই ৩-৪টি লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছে। কিন্তু চিহ্নিত করা নেই কোনো লাইসেন্সের কোনো গোডাউন, কার কত ক্যাপাসিটি। এটা বন্ধ করতে হবে। যে কোনো লাইসেন্সের ক্ষেত্রে তার পৃথক গোডাউন ও অফিস থাকতে হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের সুযোগ নিয়ে এবং অতি মুনাফার লোভে ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়িয়েছিল। প্রশাসনের অভিযানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে চাল ব্যবসায়ী ছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজা, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী কুষ্টিয়ার খাজানগরে যান। অবৈধ মজুত বা কোনো অনিয়ম হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখেন। অভিযানে একটি মিলকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও দুটি মিল সিলগালা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন