‘২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা রাজাকারের গাড়িতে তুলে দিয়েছিল। লাখো লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলার পতাকা সেদিন কলঙ্কিত হয়েছিল। তখন বাংলার মা-বোনদের ওপর নির্যাতন হয়েছিল। আমরা সেইদিনে আর ফিরতে চাই না। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দলকে প্রত্যন্ত এলাকায় শক্তিশালী করতে হবে।’ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় নাগরিক সমাজের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান এ কথা বলেন।
মন্ত্রী নির্বাচনে কালো টাকার উৎস নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হয়েছিল। এই কালো টাকার উৎস কোথায়? সারা জীবন আলফাডাঙ্গার ভোটে এই ফরিদপুর-১ আসনের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। আর এবার সেই আলফাডাঙ্গায় ১০ হাজার ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেরেছে।
তিনি সমাজকে রক্ষা করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে বলেন। তিনি বলেন, এই সমাজের প্রতি আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। মাদক থেকে সমাজকে রক্ষা করা সবার দায়িত্ব রয়েছে। আজ মানুষের নৈতিক চরিত্রের অধঃপতন ঘটেছে। যারা রাজনীতি করেন তাদের কর্মফল যদি অহংকারের না হয় তাহলে রাজনীতি সার্থক হবে। এই জনপদকে গভীরভাবে ভালোবেসেছি বলেই এলাকার উন্নয়ন করে চলেছি।’
ফরিদপুরের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সবাই চায় ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় হোক। সেই বিশ্ববিদ্যালয় হবে বঙ্গবন্ধুর নামে। আরও এমন উন্নয়ন করব যা আপনারা ভাবেননি কল্পনাও করেননি। সেটা এ হবে ইনশাআল্লাহ।
বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের ১০-১২ লাখ মানুষ বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয় ও খাবার দিয়ে বিশ্বে নজীর সৃষ্টি করেছেন। সেই দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ও বাংলাদেশে আসা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে তিনি বিশ্ববাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।’
বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে কাদিরদি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এম এম শাফিউল্লাহ শাফির সঞ্চালনায় সংবর্ধনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইসতিয়াক আরিফ, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও আব্দুর রহমানের সহধর্মিণী ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন বন্যা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস প্রমুখ।
সংবর্ধনা শেষে রাত ৯টায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন