ফরিদপুরে এক জেলের বড়শিতে ধরা পড়েছে প্রায় ৪২ কেজি ওজনের বিশাল এক বাগাড়। শনিবার (২৮ জুন) রাতে চরভদ্রাসন উপজেলার হাজার বিঘার চর এলাকার আদু শেখের বড়শিতে মাছটি ধরা পড়ে।
রোববার (২৯ জুন) সকালে উপজেলার চর হাজীগঞ্জ বাজারে আনলে স্থানীয় ১৮ জন মিলে ৬২ হাজার টাকায় কিনে নেন মাছটি। এরপর তারা ১৮ ভাগে সেই মাছ কেটে নেন।
স্থানীয় ও জেলেরা জানান, পদ্মা নদীতে পানি বাড়ছে। সম্প্রতি জেলেদের জালে বড় সাইজের রুই, কাতলা, পাঙাশ ও বোয়াল ধরা পড়ছে। জেলে আদু শেখসহ অনেকে শনিবার রাতে হাজার বিঘা এলাকার পদ্মা নদীতে মাছ শিকারে বড়শি পাতেন। শেষ রাতের দিকে তার বড়শিতে এই বাগাড় মাছটি আটকা পড়ে। পরে মাছটি টেনে নৌকায় তুলে সকালে বিক্রির জন্য চর হাজীগঞ্জ বাজারে নিয়ে আসেন তিনি।
এদিকে বিশাল বাগাড় ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বাজারে ভিড় করেন উৎসুক অনেকে। আড়তে বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১৮ জন মিলে মাছটি কিনে নেন।
মাছটির ক্রেতাদের মধ্যে মো. বাবুল শেখ জানান, মাছটি বিক্রির জন্য আড়তে নিলামে তোলা হয়। মাছের ওজন প্রায় ৪২ কেজি। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে তারা ৬২ হাজার টাকায় কেনেন মাছটি। এত বড় বাগাড় মাছ এ বছর এই এলাকায় পদ্মা নদীতে প্রথম ধরা পড়েছে বলে জানান তিনি।
চরভদ্রাসন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাঈম হোসেন বিপ্লব বলেন, খাবারের খোঁজে বা প্রজনন মৌসুম হওয়ায় বড় মাছ নদীতে বেশি দেখা যায়। বাঘাইড় মাছ বন্যপ্রাণী হলেও এটি মৎস্য সংরক্ষণ আইনের আওতাভুক্ত নয়। তাই জেলেরা বড় মাছ ধরতে পারেন। তবে জাটকা ও ছোট মাছ ধরার ক্ষেত্রে আমাদের অভিযান ও তদারকি নিয়মিতভাবে চলমান রয়েছে।
ফরিদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে বাগাড় শিকার ও বিক্রি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও মৎস্য সংরক্ষণ আইনে এমনটি নেই। বড় মাছ হলে জেলেরা ধরতে পারবে। জাটকাসহ কিছু ছোট মাছ ধরার বিষয়ে আমাদের অভিযান চলে ও আমরা সেগুলো তদারকি করি।
মন্তব্য করুন