খুলনার পাইকগাছায় নিজ বাড়িতে এক গৃহবধূর চোখে-মুখে সুপার-গ্লু লাগিয়ে কয়েক দফায় ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে তারা টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায়। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভুগী নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওই নারীর মেয়ে সাংবাদিকদের ঘটনাটি জানান। তার ভাষ্য মতে, গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না।ব্যবসায়ীক কাজে অন্য জেলায় গেছেন। রাতে মই দিয়ে বাড়ির ছাদে উঠে শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুই সন্তানের মা ওই নারীর চোখে-মুখে সুপার-গ্লু লাগিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। এরপর তাকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষক একজন না একাধিক তা ঘটনার ভয়াবহতায় বুঝতে পারেননি ওই নারী।
ধর্ষণের সময় ভুক্তভোগীর বিভিন্ন স্থানে ধারালো কিছু দিয়ে একাধিক আঘাত করা হয়। তার হাত, কান ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে।
ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, প্রতিবেশীরা টের পেয়ে বাড়িতে এসে নারীকে আহত অবস্থায় পান। তারা স্বামীকে খবর দেন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিকভাবে এক জোড়া কানের দুল, নগদ দুই লাখ টাকা ডাকাতি হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও সুমন রায় বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে একজন নারী ভর্তি হন। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে।
খুলনার ডি-সার্কেলের এসপি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা যতটুকু শুনেছেন আমরাও তাই। আমি ঘটনাস্থলে আছি। যেহেতু ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে না; তাই ধর্ষণ কি না এখনই বলা যাচ্ছে না। আগে তার সুচিকিৎসা জরুরি। সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। আসামি যেই হোক অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে।’
মন্তব্য করুন