সিসমোগ্রাফ (ভূমিকম্প পরিমাপ যন্ত্র) না থাকায় নাটোরে ভূমিকম্পের মাত্রা এবং উৎপত্তিস্থল জানা গেল না। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের স্থায়ীত্বকাল ছিল ১০ সেকেন্ড।
তবে জেলায় তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
চা দোকানি আনিসুর জানান, ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে হঠাৎ করে কাঁচের কাপগুলো ঝন ঝন করে বেজে ওঠে। এতে তিনি চমকে ওঠেন। পরে তিনি বুঝতে পারেন যে ভূমিকম্প হয়েছে।
পান দোকানি সাদেক আলী জানান, হঠাৎ করে তিনি দেখেন চকলেটের বয়ামগুলো নড়েচড়ে ওঠে। এতে কিছুক্ষণের জন্য তিনি হতচকিত হন। পরে তিনিও বুঝতে পারেন ভূমিকম্প হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা জানান, ভূমিকম্পের খবর তিনি জেনেছেন, কিন্তু এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাননি।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, অফিসে সিসমোগ্রাফ যন্ত্রটি নাই। এই কারণে ভূমিকম্পের মাত্রা কত তাও যেমন জানাতে পারবেন না তারা, তেমনি এর উৎপত্তিস্থলও কোথায় তাও জানেন না। তিনি আরও জানান, এটি তাদের হেড অফিস জানাতে পারবেন।
মন্তব্য করুন