পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে শহরের পুরাতন বাজার এলাকায় টাকার বিনিময়ে ভোট কিনতে গিয়ে গণধোলাই খেয়েছেন বর্তমান মেয়র ও মেয়রপ্রার্থী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এবং তার কর্মী সমর্থকরা।
শুক্রবার (৮মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকাসহ গোটা পৌর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল জোরদার করেছে র্যাব, পুলিশসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা গেছে, পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের পুরাতন বাজার এলাকায় টাকা দিয়ে ভোট কেনার সময় ভোটারদের হামলার শিকার হয়েছেন বর্তমান মেয়র ও মেয়রপ্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ, যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম সহিদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজসহ তাদের কর্মী সমর্থকরা। ঘটনার সময় মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার সমর্থকদের সঙ্গে স্থানীয় ভোটারদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশকয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক ভোটার বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠুই ছিল কিন্তু বর্তমান মেয়র ও মেয়রপ্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, জেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে অন্তত শতাধিক লোক পুরাতন বাজার এলাকায় প্রবেশ করে। এ সময় হিন্দু ভোটারদের টাকা দিয়ে জগ প্রতীকে ভোট দেওয়ার প্রস্তাব করে। এতে সাধারণ ভোটার রাজি না হলে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা গিয়ে মহিউদ্দিনের কর্মী সমর্থকদের অনৈতিক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এতে মেয়র প্রার্থী মহিউদ্দিনের কর্মী সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়দের উপর হামলা চালায়। মুহুর্তেই এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জড়ো হয়ে প্রতিহত করে। সিসিটিভি ফুটেজে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. জসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অপরদিকে এ ঘটনায় দুই মেয়র প্রার্থী ডা. শফিকুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন আহমেদ একে অপরকে দোষারোপ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মন্তব্য করুন