মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় তিতাসের বৈধ সংযোগের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি অবৈধ সংযোগ অর্থাৎ ১১ হাজার অবৈধ সংযোগ থাকার কারণে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিনা নোটিশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল তিতাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
হঠাৎ তিতাসের এ সিদ্ধান্তের কারণে উপজেলার ১৩টি শিল্প কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হওয়াসহ দুই হাজারের অধিক বৈধ আবাসিক গ্রাহকও পড়ে চরম বিড়ম্বনায়।
তবে তিতাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির দাবি গজারিয়া উপজেলায় আছে প্রায় ১১ হাজার অবৈধ আবাসিক সংযোগের পাশাপাশি ১৫ থেকে ২০টি ঢালাই লোহার কারখানা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৩০টির অধিক হাইওয়ে রেস্টুরেন্টে তিতাস গ্যাসের অবৈধ বাণিজ্যিক সংযোগ থাকার কারণে তারা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। যতক্ষণ পর্যন্ত অবৈধ লাইন বিচ্ছিন্ন না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে না।
দেখা যায় শনিবার (১৬ মার্চ) তৃতীয় দিনের মতো অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে তিতাস গ্যাসের মেঘনাঘাট কর্তৃপক্ষ।
অভিযানে প্রায় ১০ কিলোমিটার অবৈধ সঞ্চালন লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এখানে প্রায় ৩৫শ অবৈধ সংযোগ চলত বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস।
শনিবার দিনজুড়ে গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুনচর চাষি, এলাকায় বাউশিয়া ইউনিয়নের পুরান বাউশিয়া, ভবেরচর ইউনিয়নের কলেজ রোড, ভবেরচর বাজারসহ ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবৈধ সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এর আগে অবৈধ গ্রাহকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ২৫ ফেব্রুয়ারি তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ এ অভিযান পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদের পর গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। বৈধ গ্রাহকরা শিগগিরই গ্যাস পাবেন। গত দুই থেকে আড়াই বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে আমাদের অভিযান চলছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছি আশা করি আমরা সফল হবো। আগামীতে কেউ যাতে অবৈধ সংযোগ না নিতে পারে সে জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাই।
এ ছাড়াও গজারিয়া উপজেলার গত ২১ দিন ধরে অধিকাংশ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখায় বৈধ গ্রাহকদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অভিযান পরিচালনার শেষে শনিবার সন্ধ্যায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
মন্তব্য করুন