নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ‘ডাকাত সন্দেহে’ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছেন। গুরুতর আহত একজনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৭ মার্চ) রাতে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বাগরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় তিনজন ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে তিনি সেখানে মারা যান।
নিহতদের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে, সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর গ্রামের আমানুল্লাহর ছেলে জাকির (৪০), জেলার আড়াইহাজার উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে আব্দুর রহিম (৪৮), একই উপজেলার জালাকান্দি গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে নবী হোসেন (৩৫)। এছাড়াও, আহত অবস্থায় মোহাম্মদ আলী নামে অপর একজনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, গ্রামবাসীর ভাষ্য, রাতে একদল ডাকাত তাদের গ্রামে ঢোকে। পরে এলাকাবাসী ডাকাতদের পিটুনি দিয়ে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাগরি গ্রামের বাগরি বিলে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। তাদের গতিবিধি দেখে ডাকাত বলে সন্দেহ করে। পরে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ‘গ্রামে ডাকাত পড়েছে’ বলে ঘোষণা দিলে গ্রামবাসী বিলের সামনে জড়ো হন। তাদের ধাওয়ায় ওই ব্যক্তিরা বিলের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ধরে পিটুনি দিলে তিনজন ঘটনাস্থলে মারা যান।
সোনারগাঁ পরিদর্শক তদন্ত মহসিন মিয়া জানান, নিহত তিনজনের লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত ডাকাত দলের সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও একজন হাসপাতালে মারা গেছে।
মন্তব্য করুন