রাজশাহীতে এই বছর সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৯৫ টাকা। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৬৪০ টাকা। সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরামের এক বৈঠকের পর এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী জামেয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম (রহ.) মাদ্রাসার অফিস কক্ষে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বৈঠকে রাজশাহীর দ্রব্যমূল্যের হালনাগাদ বাজার দর পর্যালোচনা করে রাজশাহী অঞ্চলের জন্য ফিতরা নির্ধারণ করা হয় জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৯৫ টাকা ও সর্বোচ্চ দুই হাজার ৬৪০ টাকা। রাজশাহীর বাজার সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রাপ্ত দ্রব্যমূল্যের গড় ভিত্তিতে বৈঠকে নিম্নোক্ত হারে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে গমের আটা ৫৭ টাকা কেজি দরে ১.৬৫০ গ্রাম হিসেবে ৯৪.০৫ বা ৯৫ টাকা, যব ৭০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ২৩১ টাকা. খেজুর (মধ্যম) ৬০০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ১ হাজার ৯৮০ টাকা, কিসমিস ৫৪০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ১ হাজার ৭৮২ টাকা, পনির ৮০০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ২ হাজর ৬৪০ টাকা।
ওই বৈঠকে সর্বনিম্ন হারে ফিতরা না দিয়ে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উল্লিখিত পণ্যগুলোর যে কোনো একটি পণ্য বা বাজারমূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করার জন্য রাজশাহীবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়াও চলতি বছর রমজানে যাকাতের নেসাব নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করা হয়। পুরাতন রুপার প্রতি ভরি ১ হাজার ২০০ টাকা দরে এ বছরের যাকাতের নেসাব নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ হাজার টাকা (৫২.৫০ ভরি)।
রাজশাহী জেলা ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাওলানা শেখ তৈয়বুর রহমান নিজামীর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুল খালেক, মাওলানা আবদুল গনী, ড. মাওলানা ইমতিয়াজ আহমদ, মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, মুফতী আজমল হোসাইন, মাওলানা মিনহাজ উদ্দীন, মুফতী জাকারিয়া হাবীবী, মাওলানা আবদুস সামাদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন