বরিশাল টিঅ্যান্ডটির অবসরপ্রাপ্ত উপবিভাগীয় প্রকৌশলীকে দুর্নীতির দায়ে ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুই ধারায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৯ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (২০ মার্চ) বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদী আল মাসুদ এ রায় দেন। দুদকের পিপি একে নুর উদ্দীন আহম্মেদ এসব জানান।
দণ্ডিত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অবসরপ্রাপ্ত) মো. মুনসুর আলী জোয়ার্দ্দার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড় আটলাচাড়া এলাকার মৃত ইমান আলী জোয়ার্দ্দারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন।
দুদকের পিপি একে নুর উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, মামলায় তিন আসামি ছিলেন। এর মধ্যে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (অবসরপ্রাপ্ত) মো. মুনসুর আলী জোয়ার্দ্দারকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় লাইন ম্যান এমদাদ হোসেনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অপর মামলার আসামি আগৈলঝাড়া উপজেলার ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জের বরখাস্ত হওয়া উপসহকারী প্রকৌশলী ইব্রাহিম খান মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী আবুল বাশার জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলার কবির তালুকদার সুপার মার্কেটে দোকান নেন উপসহকারী প্রকৌশলী ইব্রাহিম খান। তার ছেলে প্রিন্স খানের মাধ্যমে ওই দোকান পরিচালনা করতেন।
২০০৩ সালের ৮ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত ১২ নম্বরের মাধ্যমে ২৪টি সংযোগ নিয়ে ব্যবসা করে ১৭ লাখ ৯২ হাজার ৮২৩ টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন করেন। নিজেরা অবৈধভাবে লাভবান হন। এ ঘটনায় ২০০৪ সালের ১৬ অক্টোবর বরিশাল জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সহকারী পরিদর্শক মো. হুমায়ন কবির বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
দুদকের বরিশাল জেলার সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হাসান ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
বিচারক ১২ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় দেন। ঘোষিত রায়ে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (অবসরপ্রাপ্ত) মো. মুনসুর আলী জোয়ার্দ্দার প্রতারণা ও জালিয়াতির ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম এবং দুর্নীতির দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন