মঙ্গল ও বুধবার টানা এ দু’দিনের বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ছোটবিলার বিল এলাকার বিল সুলতান মৌজার দু’হাজার বিঘা জমির বোরো ধান। এতে ধান না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় মঙ্গলবার ১৫ মিলিমিটার আর পরের দিন বুধবার বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৯ মিলিমিটার।
রাধানগর ইউপির বিল সুলতান মৌজায় বোরোধান আবাদকরী আপেল, হাবিবুর ও আশরাফুলসহ বেশ কয়েকজন চাষী জানান, এখনও বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকা বৃষ্টির পানি ছোট বিলাতে নামছে। এসব পানি নিষ্কাশন হতে সময় লাগবে ৮-১০ দিন। এতে তলিয়ে যাওয়া শীষফোটা ধানগুলো সবই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে। তাদের ধারণা, এই বিল সুলতান মৌজার চার হাজার বিঘার মধ্যে দুই হাজার বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে বৃষ্টির পানিতে।
হাবিবুর বলেন, তার ১০ বিঘা জমির বোরো আবাদ, মনিরুল ইসলামের সাড়ে সাত বিঘা, জয়নালের সাত বিঘা এবং আশরাফুল ইসলামের সাত বিঘা জমির পুরোটাই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।
আপেল নামে আরেকজন বোরো চাষি জানান, ছোট বিলা এলাকার বিল সুলতান মৌজায় ২২ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছিলেন। বেশিরভাগই ধানের শীষ ফুটেছিল। এখন পুরো জমির ধান পানির তলে। তাড়াতাড়ি পানি নামার কোনো ব্যবস্থা নেই। সরু পথের পানি নিষ্কাশনে সময় লাগছে বেশি। তার আশঙ্কা ধান আর পাওয়া যাবে না।
আশরাফুল নামে আরেকজন জানান, রহনপুর পৌরসভা, রহনপুর, রাধানগর ও পার্বতিপুর এলাকার সব পানি এ বিল দিয়েই নামে। বিলের পানি নিষ্কাশনের পথ খুবই সরু। পানি নামতে অনেক সময় লাগে। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই বিলের ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রায় বছরই এ ঘটনা ঘটছে।
উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনিরুল বলেন, বৃষ্টির পানিতে বিলের চার ভাগের তিনভাগেই বোরো ধান তলিয়ে গেছে।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভির আহমেদ বলেন, বিলের খুব নিচু এলাকায় আবাদ হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ধান। তিনি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেন, তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ৫০০ বিঘা আংশিক ও ২০০ বিঘা সম্পূর্ণরূপে ডুবেছে।
মন্তব্য করুন