ফরিদপুরে পবিত্র রমজান উপলক্ষে স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয় সামর্থ্যের কথা বিবেচনা করে ডা. কে. এম নাহিদ উল হকের প্রচেষ্টায় স্বল্পমূল্যে গরুর মাংসের পর এখন তরমুজ ও আনারস বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তরমুজ ও আনারস কিনতে এসেছেন চায়ের দোকানি জুলেখা খালা। তিনি বলেন, ‘আমি এট্টা তরমুজ কিনছি ২৫০ টাকা দিয়ে। বহুত দিন পর পরিবারের সগলরে নিয়ে খাব।’
শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে শহরের প্রেস ক্লাবের সামনের মুজিব সড়কে এ কার্যক্রম শুরু করেন। তরমুজ ও আনারস প্রতিদিনই বিক্রি করা হবে বলে জানা গেছে। ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের প্রথম দিনে অসংখ্য ক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সাধারণ ক্রেতারা এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
৩ থেকে সাড়ে ৩ কেজি ওজনের প্রতি পিস তরমুজ ১০০ টাকা এবং ৫ থেকে ৬ কেজি ওজনের প্রতি পিস বিক্রি করা হচ্ছে দুইশ টাকা। এছাড়াও আনারস প্রতি পিস বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। এ কার্যক্রম চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত।
তরমুজ কিনতে আসা অটোচালক ছিরু খান বলেন, ‘রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। ফলের দাম বেশি হওয়ায় রোজা থেকে ফল দিয়ে ইফতারি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কম দামে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে শুনে একটি তরমুজ নিয়েছি। দাম নিয়েছে ১০০ টাকা, ওজন আড়াই কেজি।’
পোশাক ব্যবসায়ী তমাল মৃধা বলেন, ‘যে মূল্যে তরমুজ এখান থেকে কিনেছি, বাজার মূল্যের অর্ধেক। এছাড়া দুটি আনারস নিয়েছি ৬০ টাকা দিয়ে। আমরা ব্যবসায়ীরা যে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করি এটা কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে। রোজার মধ্যে স্বল্প দামে তরমুজ কিনতে পারা এটা বিশেষ পাওয়া।
স্বল্পমূল্যে মাংস ও ফল বিক্রির উদ্যোক্তা ডা. নাহিদ উল হক বলেন, ‘আমার কাছে বিভিন্ন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। দরিদ্র রোগীরা তাদের কষ্টের কথা বলেন আমাকে। তাদের কষ্টের কথা শুনেই রমজান মাসে স্বল্পমূল্যে মাংস, তরমুজ ও আনারস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। সমাজের অন্যান্য ব্যক্তিকেও এ কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে ৫০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করেছি। আজও লক্ষ্মীপুর এলাকায় ৫০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছি। পাশাপাশি স্বল্পমূল্যে তরমুজ ও আনারস বিক্রি শুরু করেছি। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এ উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হবে।’
এর আগে রোববার (১৭ মার্চ) জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তিনি রমজান মাসব্যাপী গরুর মাংস ৫০০ টাকায় বিক্রির উদ্যোগ শুরু করেন।
মন্তব্য করুন